Shuvendu Adhikari-শুভেন্দুর গাড়ি ঘিরে অশ্লীল শ্লোগানের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

সোমবার শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর হামলা হয়েছে, সেই অভিযোগে বাংলায় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি আটকে রাখে তৃণমূল। 

Parna Sengupta | Published : Nov 22, 2021 7:11 PM IST / Updated: Nov 23 2021, 12:50 AM IST

তৃণমূলের (TMC) কুরুচিকর শ্লোগানের (Allegations of obscene slogans) মুখে পড়লেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা (Opposition Leader) শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari)। তাঁর গাড়ি ঘিরে চরম বিক্ষোভের অভিযোগ। চলল কুরুচিকর শ্লোগান, হুমকি, হামলা। আর এ সবই হল পুলিশের নাকের ডগায়। এমনই অভিযোগ বিজেপির। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির মারিশদা থানার সামনে সোমবার এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।  

সোমবার শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর হামলা হয়েছে, সেই অভিযোগে বাংলায় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি আটকে রাখে তৃণমূল। এরপর গাড়ির সামনে কুরুচিকর স্লোগান সহ হুমকি দেওয়া হয়। চলে হামলাও। পুলিশের নাকের ডগায় অর্থাৎ মারিশদা থানার সামনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাস্তায় চলন্ত গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ। 

শুভেন্দুকে হেনস্তার অভিযোগ তুলে মারিশদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তী। এই মর্মে মঙ্গলবার মারিশদা থানা ঘেরাও অভিযান করার কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি বলে সূত্রের খবর।

এদিকে, রবিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল ত্রিপুরার রাজনীতি। দফায় দফায় তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি আশ্রিত গুণ্ডাদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। দীর্ঘ তিন ঘণ্টায় থানায় ডেকে জেরা করার পর গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টারও অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সকাল থেকেই নর্থ ব্লকে ধর্না অবস্থানে বলে তৃণমূলকংগ্রেসের সাংসদরা। রাতেই তৃণমূলের ১৫ জনের প্রতিনিধি দল দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন। 

সোমবার সকাল থেকেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল সাংসদরা। দিনভর বিক্ষোভ অবস্থানের পর বিকেলে অমিত শাহ তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হন। তবে তাতে শান্ত হয়নি রাজ্যের তৃণমূল কর্মীরা। উল্লেখ্য, রবিবারই সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল ত্রিপুরা পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভার সামনে দিয়ে তীব্র গতিতে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর গাড়ি ধাক্কা মানে এক পথচারীকে। এই অভিযোগে সায়নীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয়েছিল।

এছাড়াও বিপ্লব দেব সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগও তুলেছিল পুলিশ। সায়নীকে থানায় জিজ্ঞাবাদের জন্য ডাকার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ত্রিপুরার রাজনীতি। যার আঁচ পড়েছিল এই রাজ্য ও দিল্লিতেও। সায়নীর অভিযোগ, তাঁকে শারীরিকভাবেও হেনস্থা করা হয়েছে। থানার মধ্যেই যেভাবে হামলা চালান হয়েছে তাতে তিনি রীতিমত ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন থানায় হামলা পরই তাঁকে অন্য একটি থানায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাতেই সায়নী তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন। 

"

Read more Articles on
Share this article
click me!