রায়গঞ্জে প্রিয়রঞ্জনের মূর্তি বসালেন তৃণমূল কাউন্সিলর, রাজনৈতিক সৌহার্দ্য না রাজনীতির খেলা, প্রশ্ন কংগ্রেসের

  • রায়গঞ্জে বসল প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মূর্তি
  • মূর্তি বসালেন তৃণমূল কাউন্সিলর
  • প্রিয়কে রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু বলে দাবি
  • কংগ্রেসের একার নয় প্রিয়রঞ্জন, দাবি তৃণমূল কাউন্সিলরের

debojyoti AN | Published : Oct 24, 2019 10:44 AM IST

রাজৈনিতক নেতাদের বাক স্বাধীনতা সীমা ছাড়াচ্ছে। বর্তমান সময়ে আমরা এই চিত্র দেখে অভ্যস্ত। এক রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব অশালীন ভাবে আক্রমণ শানাচ্ছে অপর দলের নেতৃত্বের উপর। কেবল এরাজ্য নয় সারা দেশের চিত্রটাই এখন এক। আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েই রাজনৈতিক সৌহার্দ্যের এক অনন্য নজির গড়লেন উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলর। এখানকার প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির এটি মূর্তি নিজের ওয়ার্ডে বসালেন তিনি।

রায়গঞ্জ পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের  কাউন্সিলর অসীম অধিকারী বর্তমানে তৃণমূলের টিকিটে জিতে এসেছেন। কিন্তু ভুলে যাননি নিজের রাজনৈতিক শিক্ষাগুরুকে। তাই শিক্ষাগুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে  নিজের ওয়ার্ডেই প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মূর্তি স্থাপন করলেন অসীম অধিকারী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারাও। প্রিয়রঞ্জনের হাত ধরেই রাজনীতিতে প্রবেশ অসীমবাবুর। প্রিয়রঞ্জনের মত ব্যক্তিত্বরা কেবল কংগ্রেসের সম্পত্তি নয়, তিনি সকলের নেতা বলেই দাবি করেন অসীম অধিকারী। 

শুধু ২৫ নম্বর ওয়ার্ড নয় শহরের শিলিগুড়ি মোড়েও প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির আরেকটি মূর্তি বসানোর কাজ শুরু করেছে রায়গঞ্জ পুরসভা। অদূর ভবিষ্যতে এই মোড়ের নাম প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির নামে করা হবে বলে জানাচ্ছেন রায়গঞ্জের পুরপিতা সন্দীপ বিশ্বাস। বর্তমানে এই পুরসভা রয়েছে তৃণমূলের দখলে। প্রিয়রঞ্জনকে নিয়ে তৃণমূলের উৎসাহের পিছনে ভোটের রাজনীতি দেখতে পাচ্ছেন উত্তর দিনাজপুরের কংগ্রেস নেতৃত্ব। 

১৯৯৯ এবং ২০০৪ সালে রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে জিতেই সাংসদ হয়েছিলেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। কংগ্রেস মন্ত্রিসভায় হয়েছিলেন মন্ত্রীও। প্রিয়রঞ্জনের অসুস্থতার পর তাঁর স্ত্রী দীপা দাশমুন্সি এই কেন্দ্র থেকে জিতেই মন্ত্রী হয়েছিলেন। একদা কংগ্রেসের শক্ত ঘাটি হিসাবে পরিচিত উত্তর দিনাজপুরে ক্রমেই শক্তি হারাচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন দল। একে একে হাতছাড়া হচ্ছে জেলার সবকটি পুরসভা, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ। কিন্তু প্রিয়রঞ্জন এখনও দিনাজপুরে বড় ফ্যাক্টর। তাই ২০১৭ সালে মৃত্যুর পর তাঁর দেহ রায়গঞ্জে আনা হলে দলমত নির্বিশেষে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিল সব শিবির। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সিকে নিয়ে মানুষের এই আবেগকে ভোটে বারবার কাজে লাগাতে চেয়েছে কংগ্রেস। এবার সেই আধিপত্যে থাবা বসাতে চাইছে তৃণমূলও। তাই গতবছর প্রিয়রঞ্জনের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে কংগ্রেসের পাশাপাশি পৃথক স্মরণসভার আয়োজন করেছিল তৃণমূলও। 
 

Share this article
click me!