ফের বাঘের হামলায় প্রাণ হারাল বাংলার এক মৎসজীবী। দক্ষিণ ২৪ পরগণার গোসাবা ব্লকের সুন্দর কোস্টাল থানার ঝিলা ৫ নং জঙ্গলের বলখালি এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।
ফের বাঘের হামলায় প্রাণ হারাল বাংলার এক মৎসজীবী। দক্ষিণ ২৪ পরগণার গোসাবা ব্লকের সুন্দর কোস্টাল থানার ঝিলা ৫ নং জঙ্গলের বলখালি এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। তবে ওই মৎসজীবীর কাছে বৈধ অনুমতি ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বাজার থেকে ৪ জন মৎসজীবী ঝিলা ৫ নং জঙ্গলের বলখালি এলাকায় কাঁকড়া ধরতে যান। সেই সময়ই ঘটে অঘটন। মুহূর্তের নিস্তব্ধতা চুরমার করে যায় সেই বিশালাকার হিংস্র বন্য। কয়েকসেকেন্ডেই সব শেষ।
জানা গিয়েছে, বাজার থেকে ওই ৪ জন মৎসজীবী নৌকায় করে কাঁকড়া ধরতে বের হয়। কিন্তু সেই সময়ই আচমকা নৌকার উপরে ঝাপিয়ে পড়ে একটি বাঘ। অপর তিনজন বাঘের সঙ্গে লড়াই করতে শুরু করেন। লাঠি, নৌকার হাল দিয়েই ঘায়েল করার চেষ্টা করেন। তবে সব চেষ্টাই বৃথা যায়। সন্ন্যাসী মন্ডল নামে এক মৎসজীবীকে ধরে নিয়ে গিয়ে, জঙ্গলের ভিতরে চলে যায় বাঘটি। এদিকে মৎসজীবীদের হামলায় শেষ অবধি বাঘটি সন্ন্যাসীকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু তারপর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই ওই মৎসজীবীর মৃত্য়ু হয়।
আরও পড়ুন, ভিন রাজ্যে এল, বাংলায় বর্ষা কবে? তিলোত্তমা গেয়ে ওঠে 'তোমাকে চাই'
মৎসজীবীর দেহটি উদ্ধার করে গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ন্যাসীর পরিবাররে সকলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। মৃত্যুর খবরে এলাকায় নামে শোকের ছায়া। সুন্দরবনের টাইগার রিজার্ভের অধিকর্তা তাপস মণ্ডল বলেছেন, 'ঘটনার খবর পেয়েছি। বাঘের আক্রমণে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে ঠিক নির্দিষ্ট কোন জায়গায় হয়েছে, সেটা এখনি পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। তবে যারা কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন, বৈধ কোনও কাগজ পত্র ছিল না।এমনিতেই এখন মাছ, কাঁকড়া ধরার বিষয়ে নিষেধ আছে। আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।'
প্রসঙ্গত , এর আগেও সুন্দরবনের কাঁকড়া ধরতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে, বছর ৩৬ এর গোষ্ঠ নাইয়া নামের এক ব্যক্তির। দঃ ২৪ পরগনার নাগাদ কুলতলী থানার অন্তর্গত দেউলবাড়ী গ্রাম থেকে চার মৎস্যজীবী এক ছোট নৌকা করে মাছ কাঁকড়া ধরতে বের হয়েছিল। চিতুরি ফরেস্টের কাছে তারা যখন মাছ কাঁকড়া ধরছিল, সেই সময় আচমকা একটি বাঘ পিছন থেকে গোষ্ঠ নাইয়ার ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।তাকে টেনে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাঘটিকে লাঠি ও বৈঠা নিয়ে তারা করে গোষ্ঠর সঙ্গী তিন মৎস্যজীবীর। বেশ কিছুক্ষণ চলে বাঘে মানুষে লড়াই। কিছুক্ষণ পরে বাঘ মামি রণেভঙ্গ দিয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় গোষ্ঠ নাইয়াকে নিয়ে আসার সময় নদীতেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয়েছিল তারও।