জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়, পুলিশের জালে বন্ধুপ্রকাশ পালের পালের এক বন্ধু

 

  • তদন্তের শুরুতে সন্দেহের তালিকায় নিহত শিক্ষকের এক বন্ধু
  • তাকে আটক করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা
  • মঙ্গলবার রাতে ফের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলে
  •  গভীর রাতে বন্ধুপ্রকাশ পালের ওই বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ

Asianet News Bangla | Published : Oct 16, 2019 8:21 AM IST / Updated: Oct 16 2019, 07:03 PM IST

সন্দেহটা ছিলই।  জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন শেষপর্যন্ত নিহত শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পালের বন্ধু সৌভিক বণিককে-ও গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধের নয়. তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে।  মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় সৌভিককে। 

চিটফাণ্ডে নিয়ে বিবাদের কারণে সপরিবারে নৃশংসভাবে খুন হয়ে গিয়েছেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল। জিয়াগঞ্জের হত্যাকাণ্ডের রহস্য কিনারা করে ফেলেছে পুলিশ। ধরা পড়েছে মূল অভিযুক্ত উৎপল বেহরাও। খোদ মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার শ্রী মুকেশ জানিয়েছে, জেরায় অপরাধের কথা স্বীকারও করেছে সে। কিন্তু, ঘটনা হল, তদন্তের শুরুতে কিন্তু বন্ধুবিকাশ পালের বন্ধু সৌভিক বণিকও সন্দেহভাজনদের তালিকায় ছিল। বলা ভালো, তাকেই মূল অভিযুক্ত ভাবছিলেন তদন্তকারীরা। রাতের অন্ধকারে সিউড়ি থেকে জিয়াগঞ্জে এনে সৌভিক দফায় দফায় জেরাও করা হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, বিবাহবিচ্ছেদের পর স্রেফ টাকা হাতানোর জন্য একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করত সৌভিক।  সম্পর্ক গভীর হলেই রীতিমতো হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকাও আদায় করত সে।  বস্তুত,  বন্ধুবিকাশ পালকে চিটফাণ্ডের ব্যবসায় নামিয়েছিল এই সৌভিকই। বন্ধুকে নিয়মিত টাকা ধারও দিতেন নিহত ওই প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। তদন্তকারীদের সন্দেহ ছিল,  টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিবাদ কিংবা বন্ধুবিকাশের স্ত্রী বিউটির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক সৌভিকের ছিল কি না এবং সেই কারণেই সৌভিক পাল পরিবারের তিনজন খুন করেছে কি না তাও খতিয়ে দেখছিল পুলিশ। পুলিশি তদন্তে অবশ্য প্রকাশ পায় সৌভিককে মোটেও পছন্দ করতেন না বিউটি। মূল অভিযুক্ত পেশা রাজমিস্ত্রি উৎপল বেহরা গ্রেফতার হওয়ার পরেই এই হত্যাকাণ্ডে সৌভিকের পরোক্ষ যোগের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। কারণ, উৎপলের দেওয়া অর্থ বন্ধুবিকাশ চিটফান্ডে জমা করার জন্য সৌভিককে দিয়েছিলেন। কিন্তু,সৌভিক সেই অর্থ জমা না দোওয়াতেই উৎপল খুনের ফন্দি এঁটেছিল।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বন্ধবিকাশ পালের ব্যবসায়িক সহযোগী ছিল সৌভক।  তাদের চিটফান্ডের ব্য়বসা চলত মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে। কিন্তু অনেক আমানতকারীই সময়মতো টাকা ফেরত পাননি বলে অভিযোগ। সাগরদিঘি থানায় সৌভিক বণিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বন্ধুবিকাশ পালের বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত উৎপল বেহরা কীভাবে মাত্র পাঁচ মিনিটে বন্ধুবিকাশ পাল, তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী বিউটি  ও শিশুপুত্রকে খুন করল, তা নিয়েও কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে। 

Share this article
click me!