হালিশহর, কাঁচরাপাড়ার পরে এবার নৈহাটি পুরসভারও দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হওয়া আস্থা ভোটে ২৪-০ ব্যবধানে জয় পেল তৃণমূল।
নৈহাটি পুরসভায় মোট ৩১টি ওয়ার্ড রয়েছে। ৩১টি ওয়ার্ডেই গত ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের পর হালিশহর, কাঁচরাপাড়ার সঙ্গেই নৈহাটি পুরসভার ১৮ জন কাউন্সিলর বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। এর ফলে পুরসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। নৈহাটি পুরসভায় আস্থা ভোটের আয়োজন হলেও নিরাপত্তার কারণে তাতে যোগ না দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি।
হাইকোর্টের নির্দেশেই এ দিন বারাসতে জেলাশাসকের দফতরে কড়া নিরাপত্তায় আস্থাভোটের আয়োজন করা হয়। কিন্তু এ দিন সেখানেও আস্থা ভোটে যোগ দেয়নি বিজেপি। এর ফলে ২৪-০ ব্যবধানে আস্থা ভোটে জিতে নৈহাটি পুরসভা দখল করে তৃণমূল।
নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চক্রবর্তী বলেন, 'তেইশে মে-র পরে প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের হাতে ছিল। সেই সুযোগেই ভয় দেখিয়ে কাউন্সিলরদের বিজেপি-তে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। সেই ভয় কাটিয়ে কাউন্সিলররা আবার তৃণমূলে ফিরে এসেছেন।'
লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুরে বিজেপি জেতার পরই হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, নৈহাটির মতো একের পর এক পুরসভার দখল নিতে শুরু করেছিল গেরুয়া শিবির। কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল শাসক দল। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে শুরু করে রাজ্যের শাসক দল। এর আগেই তারা মুকুল রায়ের খাসতালুকে হালিশহর এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভা পুনরুদ্ধার করেছিল। এবার নৈহাটি পুরসভাও পুনর্দখল করল তৃণমূল।
বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, পুলিশের সাহায্য় নিয়ে আস্থা ভোটে জিতেছে তৃণমূল। রাতে বিজেপি কাউন্সিলরদের বাড়ি গিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। বেশ কয়েকজন কাউন্সলিরকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ বিজেপি সাংসদের। তাঁর দাবি, ভয় পেয়েই বিজেপি সাংসদরা আস্থা ভোটে অংশ নেননি। বিষয়টি নিয়ে মানুষের কাছে যাবেন বলে জানিয়েছেন অর্জুন সিংহ।