ভরদুপুরে চলন্ত ট্রেনে এক যাত্রীর মোবাইল ছিনতাই করল দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, ছিনতাই করার ওই যাত্রীকেও ট্রেন থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ালো উত্তর ২৪ পরগনার গরিফা স্টেশনে।
আক্রান্ত যাত্রীর নাম সৌরভ মাঝি। বাড়ি, আসানসোলে। উত্তর ২৪ পরগণার নৈহাটিতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন সৌরভ। সোমবার দুপুরে নৈহাটি থেকে বালিয়া এক্সপ্রেসে চেপে যখন আসানসোলে ফিরছিলেন, তখন চলন্ত ট্রেনে দুষ্কৃতীদের খপ্পরে পড়েন ওই যুবক। সৌরভর মাঝির দাবি, গরিফা স্টেশনের কাছে পকেট থেকে মোবাইলটি ছিনতাই করে নেয় এক দুষ্কৃতী এবং তাঁকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেয়। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যায় সৌরভ। শেষপর্যন্ত তাঁকে উদ্ধার করে নৈহাটি হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। নাকে-মুখে গুরুতর আঘাত লেগেছে ওই যুবকের। প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের গোড়ায় হাওড়ার উলুবেড়িয়া স্টেশনেও চলন্ত ট্রেন থেকে এক যুবকের দামি মোবাইল ছিনতাই করার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। মোবাইল বাঁচাতে চলন্ত ট্রেন থেকে ওই যুবক ঝাঁপ দেন। রেললাইনে মাথা থেঁতলে মারাও যান তিনি। এদিকে চলন্ত ট্রেনে একের এক ছিনতাইয়ে ঘটনায় আতঙ্কিত নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের প্রশ্ন, লোকাল ট্রেন, এমনকী দূরপাল্লা ট্রেনেও দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। কিন্তু রেল কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না? বস্তুত, প্রতি বছর বাজেটে রেলে যাত্রীদের নিরাপত্তা উপর জোর দেওয়া হয়। টাকা বরাদ্দও করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য থামানো যাচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।