ক্ষমতা বদলেছে ঝাড়খণ্ডে, এবার ম্যাসাঞ্জোরে নীল- সাদার আশায় অনুব্রত

  • ম্যাসাঞ্জোর বাঁধে নীল- সাদা রং হবে
  • আশাবাদী তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল
  • নীল- সাদা রং করতে বাধা দিয়য়েছিল বিজেপি সরকার
  • ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে বিজেপি

debamoy ghosh | Published : Dec 25, 2019 9:26 AM IST / Updated: Dec 25 2019, 02:58 PM IST

ঝাড়খণ্ডে বিজেপি সরকার ক্ষমতা হারিয়েছে। ক্ষমতা দখল করেছে কংগ্রেস সমর্থিত জোট সরকার। সরকার বদলানোয় এবার ঝাড়খণ্ডের ম্যাসাঞ্জোরেও নীল-সাদা রং হবে বলে আশাবাদী অনুব্রত মণ্ডল। একই সঙ্গে তাঁর আশা, ম্যাসেঞ্জোর বাঁধ নিয়ে যাবতীয় সমস্যার সমাধানও নতুন সরকারের আমলে হবে। সোমবার সিউড়িতে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ সভায় এমনই দাবি করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

সমস্যার সূত্রপাত বছর দু'য়েক আগে। ম্যাসেঞ্জোর বাঁধের একাংশে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে নীল- সাদা রং করার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও সেই প্রচেষ্টায় বাধা দেয় ঝাড়খণ্ড প্রশাসন। একই সঙ্গে বাঁধ সংলগ্ন তোড়ণের গায়ে লাগানো বিশ্ববাংলা লোগো-ও খুলে সেখানে ঝাড়খণ্ড সরকারের লোগো লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বীরভূমের অতিরিক্ত জেলাশাসক, সেচ দফতরের আধিকারিকরা- সহ একটি সরকারি প্রতিনিধি দল দুমকায় গিয়ে সেখানকার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। বাঁধে নীল সাদা রং করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তেই অনড় থাকে ঝাড়খণ্ড সরকার। উল্টে দুমকার বিজেপি সাংসদ দাবি করেন, ম্যাসেঞ্জোরের জল বাংলার চাষিদের দেওয়া হবে না। এ নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব আন্দোলনও শুরু করে। জল বন্টন নিয়ে দুই রাজ্যের মধ্যে নতুন  চুক্তি করারও দাবি করে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। 

আরও পড়ুন- লোক ধার দিতে চান অনুব্রত, ধন্যবাদ জানালেন সিপিএম নেতা

আরও পড়ুন- 'এসপি-কে বলে তুলে নেব', জাল নোটের কেসে ফাঁসানোর হুমকি অনুব্রতর, দেখুন ভিডিও

ম্যাসাঞ্জোর বাঁধ নিয়ে আশাবাদী অনুব্রত বলেন, 'একশো শতাংশ ম্যাসাঞ্জোর বাঁধে নীল সাদা রং হবে।  ম্যাসাঞ্জোর বাঁধ তো আমাদেরও, পশ্চিমবাংলার। বিজেপি সরকার অন্যায় করেছিল। আমি মনে করি জোট সরকার অন্যায় করবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগিতা পাবেন।'

নীল সাদা রং করতে না দেওয়া এবং জল বন্টন নিয়ে বিজেপি-র হুমকির পাল্টা আন্দোলন শুরু করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কোনও আন্দোলনেই নামেননি তিনি। বিষয়টিও আস্তে আস্তে ধামাচাপা পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের মসনদে ক্ষমতার পালাবদল হতেই বিষয়টি নিয়ে ফের সক্রিয় হয়ে উঠলেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, 'ঝাড়খণ্ডে আদিবাসীদের বসবাস বেশি বলে কি তাঁরা বোকা? তাঁরা কি উন্নয়ন বোঝেন না?' এর পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাস্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে 'দুই মাথা মোটা' বলে কটাক্ষ করেন অনুব্রত। তিনি বলেন, 'ওই দুই নেতার মাথায় গোবর ভরা আছে। ওই মাথা কোনও কাজ করে না।
তা না হলে এনআরসি ও সিএএ বিল আনত না।'  

Share this article
click me!