বীরভূমে ভোট মিটেছে। কিন্তু গরমাগরম বিবৃতি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে যে দূরে রাখা মুশকিল। তাই নিজের জেলায় ভোট মিটলেও এবার অন্য জেলাতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। পূর্ব বর্ধমানে দলের হয়ে ভোট প্রচারে গিয়ে অনুব্রতর হঙ্কার, কেন্দ্রীয় বাহিনী ভয় দেখালে চোখে পর্দা নামিয়ে নিতে হবে.
নিজের জেলাতেও ভোটের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অতি সক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন অনুব্রত। শেষ পর্যন্ত বীরভূমে ভোটের দিন তাঁকে নজরবন্দি করে নির্বাচন কমিশন। তাতে কাজের কাজ কতটা হয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন। রাজ্যের নির্বাচনের প্রায় প্রতিটি দফাতেই হিংসা অব্যাহত থাকায় ষষ্ঠ দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী বারো মে ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে রাজ্যের আটটি আসনের জন্য সাতশো সত্তর কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একশো শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক।
পূর্ব বর্ধমানের সভা থেকে অনব্রত বলেন, "আমরা সেনাকে সম্মান করি। কিন্তু সেনা যদি অন্যায় করে, তাহলে মানব না।" অনুব্রতর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অনু্ব্রত বলেন, "আমাদের প্রধানমন্ত্রী খালি মিথ্যে কথা বলেন। চোখমুখের হাবভাব একজন মস্তানের মতো। কিন্তু বাংলায় কোনও মস্তানি চলবে না। সেনা যদি হাত তোলে, তা হলে হাত নামিয়ে দিন। ভয় দেখালে চোখের পর্দা নামিয়ে দিন। গায়ের জোর দেখালে আমরা ছাড়ব না, ভয় না পেয়ে আমাদের জানান।"
আগামী বারো মে রাজ্যের আটটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ। এর মধ্যে রয়েছে, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, তমলুক এবং কাঁথি। এর মধ্যে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া,, মেদিনীপুরের মতো কেন্দ্রগুলিতে তৃণমূলকে বিজেপি কঠিন চ্যালেঞ্জ ছু়ড়ে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে দু' দলের মধ্যে ভোটের দিন সংঘাত বাঁধার সম্ভাবনা প্রবল। সেই আশঙ্কাকে মাথায় রেখেই এবার আরও সতর্ক হয়ে আগের দফার তুলনায় ষষ্ঠ দফার ভোটে বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই বিজেপি-র পক্ষ থেকে নির্বাচন তনিশনে গিয়ে বাকি দুই দফায় একশো শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানিয়ে এসেছে বিজেপি।