ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে দশ লক্ষ জয় শ্রীরাম লেখা কার্ড পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন তিনি। ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ। মমতাকে কটাক্ষ করে এবার অর্জুনের দাবি, পুলিশ আর গুন্ডারা ছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর পাশে কেউ নেই।
রবিবার ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আমডাঙা ও দত্তপুকুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। অভিযোগ, বিজেপি কর্মীদের অকারণ হেনস্থা করছে পুলিশ। সেখানেই উপস্থিত হয়ে ব্যারাকপুরের সাংসদ অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই বিজেপি সমর্থকদের বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার চালাচ্ছে পুলিশ। এমনকী মহিলা, শিশুদেরও হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ অর্জুনের। মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে অর্জুন বলেন, "জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনেই মেজাজ হারাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাঁরা জয় শ্রীরাম বলছেন, তাঁদেরকেই জেলে ঢোকাচ্ছেন। কোনও ধর্মীয় স্লোগান শুনলে বিজেপি-র কিন্তু এই সমস্যা হয় না।" এর পরেই অর্জুন অভিযোগ করেন, মমতার পাশ থেকে সবাই সরে গিয়েছেন। এখন শুধু তাঁর পাশে রয়েছে পুলিশ এবং গুন্ডারা।
দীর্ঘ ছ' বছর বাদে মমতার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে দলের বহিষ্কৃত নেতা কুণাল ঘোষের। তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অর্জুন। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর এমন বেহাল অবস্থা হয়েছে যে যাঁরা জেল খেটে আসছেন, তাদেরকে প্রার্থী করা হচ্ছে।" নিজের দাবির স্বপক্ষে মদন মিত্রকে ভাটপাড়া উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী করার প্রসঙ্গ টেনে আনেন অর্জুন। ব্যারাকপুরের সাংসদের কথায়, "সারদা কেলেঙ্কারিতে যিনি জেল খেটেছেন, তাঁকে বাড়িতে ডেকে মিটিং করছেন মুখ্যমন্ত্রী। উনি আর সততার প্রতীক থাকতে পারলেন না।" মদন মিত্রের মতো কুণালকেও মমতা কোথাও প্রার্থী করার কথা ভাবছেন বলেও কটাক্ষ করেন ব্যারাকপুরের সাংসদ।
প্রসঙ্গত গত শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয় দু' জনের। একা মমতা নন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দু' দফায় দীর্ঘ বৈঠক হয় কুণালের।