অর্জুন সিং আরও বলেন ভুলবোঝাবুঝির কারণে তিনি দল ছেড়েছিলেন। তিনি আরও বলেন পাট শিল্প নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কিছুই করছে না। তিনি বলেন এই শিল্প অবহেলার শিকার হয়েছে।
বিজেপি ছেড়ে সদ্যোই ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছেন বলা যেতে পারে। কিন্তু অর্জুন সিংর দল বদলের পরই তাঁর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। এদিন দল বদলের পর তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তিনি বিজেপির টিকিটে ভোটে জিতেছিলেন। কিন্তু এবার দল বদল করে তৃণমূলে এসেছেন। তাহলে কী বাবুল সুপ্রিয়র মত তিনিও সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন? এই প্রশ্নের উত্তর দিলেয়ও সরাসরি দেননি দলবদলু অর্জুন সিং। তিনি নাম না করেই নিশানা করেন অধিকারী পরিবারকে। তিনি বলেন এই রাজ্যের এমন দুই জন সাংসদ রয়েছে যারা তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিজেপির হয়ে কাজ করছে। তাঁরা সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলে তিনিও ইস্তফা দেবেন। তাঁকে নাকি এই বিষয়ে কিছু বলতে হবে না। দিল্লি গিয়ে তিনি ইস্তফা দিয়ে আসবেন বলেও জানিয়েছেন।
অর্জুন সিং-এর এই মন্তব্যে স্পষ্ট তিনি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আক্রমণ করেছেন। কারণ শিশির অধিকারী ও তাঁর পুত্র দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূলের টিকিটে জয়ী সাংসদ। যদিও তাঁদের বর্তমানে তৃণমূলের কোনও অনুষ্ঠান বা কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যায়নি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহের কাঁথির জনসভাতেও হাজির হয়েছিলেন শিরির অধিকারী।
এখানেই শেষ নয়- অর্জুন ঘরে ফিরে বিজেপির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ তুলোন। তিনি বলেন গেরুয়া শিবির ঘরে বসে রাজনীতি করছে। এভাবে রাজনীতি করলে কোনও পরিবর্তন আসবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। ফেসবুকে কখনই সংগঠন হয় না। বিজেপি সেই চেষ্টাই করছে। এসি ঘরে বসে দল চালানোর চেষ্টা করে। তিনি আরও বলেন বাংলার উন্নয়ন কিছু মানুষ আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেই অবস্থাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়। তাঁদের সবুজ সংকেত পেয়েই তিনি ঘরে ফিরে আসেন বলেও জানিয়েছেন।
অর্জুন সিং আরও বলেন ভুলবোঝাবুঝির কারণে তিনি দল ছেড়েছিলেন। তিনি আরও বলেন পাট শিল্প নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কিছুই করছে না। তিনি বলেন এই শিল্প অবহেলার শিকার হয়েছে। রাজ্যের ৬২টি জুটমিলের মধ্যে অধিকাংশই বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন পাট শিল্প নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন। এই খবর পাওয়ার পরই তিনি পাট শিল্পের জন্য নতুন করে লড়াই করতে শুরু করেছিলেন। মাত্র ২৫ শতাংশ আদায় করতে পেরেছেন।