চার বেসরকারি দেহরক্ষী সহ এক ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করলো ভাঙড় থানার পুলিশ। শুক্রবার ভাঙড়ের মাধবপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় এই পাঁচজনকে। নিজেকে চিকিৎসক ও প্রফেসর পরিচয় দিয়ে এলাকায় থাকছিলেন অভিযুক্ত। এছাড়া চাকরি দেওয়ার নাম করে এলাকা থেকে টাকা তুলছিলেন বলেই অভিযোগ রাকেশের বিরুদ্ধে।
এলাকার মানুষজনের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা ভাঙড় থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বেশ কয়েকমাস ধরে এলাকায় নিজেকে ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকছিলেন বছর পঁচিশের রাকেশ মিদ্দা। ডাক্তারি পেশার পাশাপাশি তিনি প্রফেসর ছিলেন বলে এলাকায় জানিয়েছিলেন। এলাকা থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে কিছু মানুষের কাছে থেকে টাকা নিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। নিজেকে বড় ডাক্তার তা প্রমাণ করার জন্য সঙ্গে করে চারটি বেসরকারি দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরতেন।
এরই সঙ্গে নীল বাতি লাগানো তিনটি গাড়ির কনভয় করে এলাকায় রোগী দেখতে যেতেন রাকেশ। করোনার সময় মানুষ যখন বিপদের মুখে, সেই সময় সাহায্যের নামে এলাকা থেকে টাকা তুলছিল এই রাকেশ বলে জানা যায়। সাধারণ মানুষের সন্দেহ হওয়ায় তারা ভাঙড় থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ভাঙড় থানার পুলিশ খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওই চার বেসরকারি দেহরক্ষী সহ রাকেশকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। দীর্ঘক্ষন ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
এলাকার সাধারণ মানুষকে ওই চার দেহরক্ষী ভয় দেখাতো বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণে তাদেরকেও গ্রেফতার করা হয়।
থানায় নিজেকে দীর্ঘক্ষন ধরে চিকিৎসক প্রমাণ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় রাকেশ। তার কাছে যে ডাক্তারি পরিচয় পত্র ছিল তা সম্পূর্ণরূপে ভুয়ো বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সঠিক কি কারণে এভাবে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দেওয়া ও এলাকায় দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরে বেরাতেন ঐ যুবক সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।