ভোট প্রচার থেকে ফেরার পথে আক্রান্ত হলেন আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। রবিবার রাতে বসিরহাট থেকে প্রচার সেরে ফেরার পথে বারাসতের কাছে টাকি রোডের উপরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ বিজেপি নেতার। বাবুলের নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগকে খারিজ করে দিয়েছে তৃণমূল।
বাবুলের অভিযোগ, উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটে বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর সমর্থনে জনসভা শেষ করে কলকাতায় ফেরার পথে আক্রান্ত হন তিনি। বারাসাতের কাছে কদম্বগাছিতে টাকি রোডে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়ি আটকে কনভয়ের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযোগের তির মূলত শাসক দলের নেতা আরশাদ উদজামানের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনার পরেই দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে ভিডিও ফুটেজ সহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। রাতেই নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর থেকে রাজ্য প্রশাসনের কাছে ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। বিজেপির তরফ থেকে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ তুলে অবিলম্বে দত্তপুকুর থানার আইসির অপসারণের দাবি তোলা হয়েছে। পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তেজনাপূর্ণ থাকায় এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।
বাবুলের সহযোগীরা জানান,
কদম্বগাছিতে চা খেতে গাড়ি দাঁড় করান বিজেপি নেতা। কিন্তু চায়ের দোকানের দিকে এগোতেই মারমুখী তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা তাঁদের দিকে তেড়ে আসেন। বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা আরশাদ উদজামানের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। নিগ্রহের চেস্টা করা হয় বাবুলকে। দ্রুত তিনি গাড়িতে উঠে এগিয়ে গেলে ইঁট বৃষ্টি শুরু হয়। অভিযোগ, এর পরেই বাবুলের গাড়ির পিছনে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়িটিতে ভাঙচুর করা হয়। বিজেপি নেতাকে নিরাপদে সরাতে গিয়ে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরাই আক্রান্ত হন।
অন্যদিকে অভিযুক্ত আরশাদ উদজামানের দাবি, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। উল্লেখ্য, এর আগেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় প্রকাশ্য রাস্তায় বিজেপির এক নেত্রীকে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ রয়েছে রয়েছে এই আরশাদ উদজামানের বিরুদ্ধে। ঘটনায় তৃণমূলের যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উত্তর চব্বিশ পরগনার তৃণমূল জেলা সভাপতি এবং খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। উল্টে তাঁর কটাক্ষ, বাবুল হামলার যোগ্যই নন।