
আজ থেকে টানা ১৫ দিন বন্ধ থাকবে বাগডোগরা বিমানবন্দর। ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত রানওয়ে মেরামতের কাজ চলবে সেখানে। তার জন্যই বিমানবন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংস্কারের কথা আগেই জানানো হয়েছিল। সেই মতোই আজ থেকে শুরু হয়ে গেল বাগডোগরা বিমানবন্দরের রানওয়ে সংস্কারের কাজ। দুর্ঘটনা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। যদিও টানা ১৫ দিন সেখানে উড়ান পরিষেবা বন্ধ থাকার ফলে পর্যটন শিল্পে বড়সড় ধাক্কার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও সংস্কারের ফলে বিমানবন্দর নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করবে বলেই আশা কর্তৃপক্ষের।
কী সংস্কার হবে এই ১৫ দিনে?
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, মূলত ৩ কিলোমিটার ৯ হাজার স্কোয়্যার ফিট রি কার্পেট করা হবে। আর তাই এই ১৫ দিন বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সব উড়ানের ওঠা নামার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ৩৬টি বিমানের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় বাগডোগরা এয়ারপোর্টে প্রায় ৫ হাজার যাত্রী ওঠানামা করেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই পর্যটক।
আরও পড়ুন- 'এসএসকেম-র উডবার্ণ কি কয়েদিদের আশ্রয়খানা', বিস্ফোরক কুণাল
এই মুহূর্তে শুধুমাত্র আন্তঃরাজ্য বিমান চলাচল করে বাগডোগরা বিমানবন্দরে। তবে খুব দ্রুতই এই বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরকে জমি হস্তান্তর করেছে রাজ্য সরকার। সেখানে টার্মিনাল শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। একেবারে নতুন করে সাজানো হচ্ছে বাগডোগরা বিমানবন্দরকে। আর এর ফলে আগামীদিনে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের যোগাযোগ আরও সুগম হয়ে যাবে। তার মাধ্যমে উন্নত হবে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পও।
সমস্যায় পড়বেন বহু মানুষ
বর্তমানে ৩৬টি বিমানের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় বাগডোগরা এয়ারপোর্টে প্রায় ৫ হাজার যাত্রী ওঠানামা করেন। এছাড়াও বাগডোগরা হয়ে বেশ কিছু বড় বিমানও চলাচল করে। আবার এই বিমানবন্দরের উপর নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, সিকিম, বিহার ও অসমের মানুষও নির্ভরশীল। ফলে মেরামতির জন্য টানা ১৫ দিন বিমানবন্দর বন্ধ থাকলে বহু মানুষ সমস্যায় পড়বেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। এমনকী ধাক্কা খাবে পর্যটনশিল্পও। অনেকেরই টিকিট বাতিল করে দেওয়াচে। যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন- ঝালদাকাণ্ডে ধৃতদের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ পেতেই ম্যারাথন জেরা শুরু, বাদ কেন দীপক কান্দু
করোনার জেরে পর্যটনশিল্পে অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকলে ফের ধাক্কা খাবে পর্যটনশিল্প। এছাড়া এই মার্চ-এপ্রিল মাসেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পর্যটন স্থানে ভিড় জমান পর্যটকরা। কিন্তু, উড়ান চলাচল বন্ধ থাকলে সেখানে পর্যটকদের সংখ্যাও কমে যাবে। আর বিমানবন্দর বন্ধের খবর মিলতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পর্যটন ব্যবসায়ী-সহ সাধারণ যাত্রীদের। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে কাজ শেষ হয়ে যায় সেই আশা করছেন তাঁরা।
এদিকে বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় চাপ বেড়েছে লং রুটের বাস পরিষেবায়। বাসের মাধ্যমেঅই এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাচ্ছেন পর্যটকরা। পাশাপাশি উচ্চমানের এসি বাসের অ্যাডভান্স বুকিংও চলছে।