সংক্ষিপ্ত

ঝালদাকাণ্ডে অবশেষে ধৃতদের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।  ইতিমধ্যেই ধৃতদের হেফাজতের নেওয়ার পর ঝালদা বেস ক্য়াম্পে নিয়ে আসা হয়। জেরা শুরু করেন তদন্ত আধিকারিকরা।

ঝালদাকাণ্ডে অবশেষে ধৃতদের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। পুরুলিয়ায় আদালত বন্ধ হয়ে যাবার পরও আবদেনর ভিত্তিতে দরজা খুলে ধৃতদের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। তিনদিনের টানা পোড়েনের পর অবশেষে সিটের হাতে ধৃত চারজনকে হেফাজতে নিতে পারল সিবিআই। ইতিমধ্যেই ধৃতদের হেফাজতের নেওয়ার পর ঝালদা বেস ক্য়াম্পে নিয়ে আসা হয়। জেরা শুরু করেন তদন্ত আধিকারিকরা।

 ঝালদা কাণ্ডের তদন্তে সিট দীপক কান্দু, নরেন কান্দু, কলেবর সিং এবং আশিক কান্দুকে গ্রেফতার করেছিল। তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নিতে রবিবার দুপুরে পুরুলিয়া জেলা আদালতে পৌছয় সিবিআই। সেখানে কোনও সুরাহা না মেলায়, সিবিআই-র দল পৌছয় বিচারকের বাংলোতে।  অবশেষে আদালতের নির্দেশ পেয়ে  ধৃতদের রবিবার ঝালদা বেস ক্য়াম্পে নিয়ে আসা হয়। রবিবার সন্ধ্যায় এক নম্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র তাঁদের ডাক্টারি পরীক্ষা করানো হয়। এরপরই  ম্যারাথন জেরা শুরু করেন তদন্ত আধিকারিকরা। রবিবার অনেক রাত অবধি এই জেরা চালানো হয়। জেরা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবে সিবিআই। আরও একাধিকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। আগামী দুই এক দিনের মধ্য়েই সিবিআই-র সিএফএসএল-দলও এসে পৌছবে ঝালদায়। সব মিলিয়ে দুরুন্ত গতিতে এগোচ্ছে ঝালদা হত্যাকাণ্ডের সিবিআই তদন্ত। নরেন কান্দু এবং আসিক খানকে ৭ দিন, কলেবর সিংহকে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবার প্রথমে ধৃত দীপন কান্দুর যেহেতু ১৪ দিন পুলিশ হেফাজত নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই এই মামলায় নিজেদের হেফাজতে আপাতত দীপন কান্দুকে নিতে পারবে না সিবিআই।

আরও পড়ুন, গণধর্ষণকাণ্ডে হাঁসখালিতে বিজেপির ডাকে চলছে বনধ, আজ নির্যাতিতার বাড়িতে যাবে আজ বাম-বিজেপি

 

আরও পড়ুন, বীরভূম গণহত্যায় নাটকীয় মোড়, সিবিআই জালে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের শ্বশুর

প্রসঙ্গত হাইকোর্টের নির্দেশে ঝালদাকাণ্ডের তদন্তের দায়ভার পেতেই বুধবার রাতে পুরুলিয়া পৌছন সিবিআই আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া জেলা আদালতে পৌছন সিবিআই আধিকারিকরা। তপন কান্দুর অপর এক ভাইপো বীরবল কান্দুকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে যান  সিবিআই আধিকারিকরা। ওই দিনই ঝালদা থানায় সিবিআই ফুটেজ চাইলেও তা পায়নি সিবিআই। তদন্তের ভাগ হিসেবে এই হত্যাকাণ্ডে ৫ জন পুলিশকে ক্লোজ করা হয়। শুক্রবার কথা বলার পাশপাশি শনিবারও এই ৫ পুলিশকর্মীকে ডেকে পাঠান সিবিআই আধিকারিকরা। তারই সঙ্গে ডেকে পাঠান ঝালদার এসডিপিও। শনিবার ঝালদার রেঞ্জ অফিসে হাজিরা দেন  এসডিপিও সুব্রত দেব। প্রায় ১ ঘন্টা ধরে তাঁকে জেরা করেন সিবিআই। এরপর তাঁদেরকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান সিবিআই আধিকারিকরা। ১৩ মার্চ যেই এলাকায় তপন কান্দুকে খুন করা হয়, সেই ঘটনাস্থল আরও ভালো করে খতিয়ে দেখেন।  সিবিআই-র অস্থায়ী ক্যাম্পে  এসডিপিও-কে তদন্তের স্বার্থে তলব করা হয়। সেখানে রয়েছেন ডিআইডি সিবিআই।  এরই সঙ্গে ডেকে পাঠানো হয় তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষ দর্শীদেরও।

আরও পড়ুন, 'উত্তরপ্রদেশের ঘটনাই পুনরাবৃত্ত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে', হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে সরব রুদ্র-শ্রীলেখারা