শারদোৎসবে বাংলাদেশের (Bangladesh) সংখ্যালঘু হিন্দুদের (Hindu) উপর মৌলবাদীদের (Muslim Fundamentalists) জঘন্য আক্রমনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ধরনা, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত করল বিজেপি (BJP)।
শারদ উৎসবের সময় বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু হিন্দুদের (Hindu) উপর মৌলবাদীদের (Muslim Fundamentalists) জঘন্য আক্রমনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ধরনা, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত করল বিজেপি (BJP)। এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মুর্শিদাবাদের বিধায়ক তথা বিজেপির দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ (Gauri Shankar Ghosh) ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে একইসঙ্গে কঠোর সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দল সিপিএম-কংগ্রেস ও রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের।
দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2021) সময় বাংলাদেশের কুমিল্লা (Comilla) এবং নোয়াখালি (Noakhali) জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় মৌলবাদী দুষ্কৃতীরা পুজামন্ডপ ও স্থানীয় কয়েকটি মন্দিরে হামলা চালিয়েছিল। অভিযোগ, সেই সময় মহিলাদের উপর আক্রমণ ও সন্ত্রাস চালাতেও দ্বিধা করেনি তারা। এতে একদিকে যেমন চরম আঘাত লেগেছে হিন্দু ভাবাবেগে, তেমনই এই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল অংশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষও।
এদিন বাংলাদেশের ওই নক্কারজনক ঘটনায় জড়িত দোষীদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে বহরমপুর (Berhampore) , মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) ও জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ (Jiaganj Azimganj) পুর এলাকায় বিজেপি ধরনা ও প্রতিবাদ মিছিল করে। বহরমপুরের প্রতিবাদ সভায় ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাফুজা খাতুন (Mafuja Khatun), মুর্শিদাবাদের প্রতিবাদ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন গৌরীশঙ্কর ঘোষ (Gauri Shankar Ghosh) এবং জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুর এলাকায় প্রতিবাদ হয় বিজেপি নেতা শঙ্কর মন্ডলের (Shankar Mandal) নেতৃত্বে।
পরে মাফুজা খাতুন বলেন , 'এই তান্ডবের প্রতিবাদ শুধু মাত্র রাজনৈতিকভাবে নয় মানবিকভাবেও হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা দেখলাম এই রাজ্যে শুধুমাত্র বিজেপিই প্রতিবাদে পথে নামল। অন্যরা সবাই অদ্ভুতভাবে চুপ।' গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, 'বাংলাদেশের ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মুখে কুলুপ এঁটেছেন। চুপ রাজ্যের সিপিএম (CPIM), কংগ্রেস (Congress) এমনকী বুদ্ধিজীবী মহলও। ওপার বাংলার অসহায় হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের নিরাপত্তার দাবিতে শুধুমাত্র বিজেপি আন্দোলন গড়ে তুলেছে।'
বিজেপির মতো বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে রাস্তায় না নামলেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও (Adhir Ranjan Chowdhury)। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে বুদ্ধিজীবী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যেও জোর চর্চা চলছে।