শক্ত হাতে রাশ ধরুক সরকার, চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়ালেন সন্দেশখালির আক্রান্ত বিডিও

  • সন্দেশখালিতে আক্রান্ত হন কৌশিক সরকার
  • দুর্নীতি ধরে ফেলায় তৃণমূল নেতা, কর্মীদের হাতে আক্রান্ত
  • চিকিৎসকদের কর্মবিরতিকে সমর্থন
  • ফিরতে চান পুরনো কাজের জায়গাতেই

debamoy ghosh | Published : Jun 14, 2019 12:51 PM IST

কয়েকদিন আগেই সন্দেশখালিতে কর্তব্যরত অবস্থাতেই আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সন্দেশখালির সেই আক্রান্ত বিডিও কৌশিক ভট্টাচার্য এবার আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়ালেন। তাঁর মতে, সরকার শক্ত হাতে রাশ না ধরলে পরিস্থিতি এবার হাতের বাইরে বেড়িয়ে যাবে। 

উত্তর চব্বিশ পরগণার সন্দেশখালি- ২ ব্লকের বিডিও কৌশিকবাবু কয়েকদিন আগেই  নিজের কর্মস্থলে আক্রান্ত হন। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বেশ কিছু বেনিয়ম ধরে ফেলার জেরে তাঁর উপর চড়াও হয় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা এবং তাঁর অনুগামীরা। বেধড়ক মারধর করা হয় ওই বিডিও-কে। বেশ কয়েকদিন হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে সুস্থ হয়ে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বাড়িতে ফিরেছেন কৌশিকবাবু। 

নিজে কর্মস্থলে নিগৃহীত হয়েছেন, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরাও তাঁদের নিরাপত্তার দাবিতেই আন্দোলনে নেমেছেন। ফলে চিকিৎসকদের এই দাবি যুক্তিযুক্ত বলে মনে করছেন কৌশিক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'প্রশাসনকে শক্ত হাতে রাশ ধরতে হবে। কারণ আমরা যাঁরাই সরকারের হয়ে কাজ করছি, প্রত্যেকেরই জীবনের মূল্য রয়েছে। আমরা যদি সুস্থভাবে বেঁচে না থাকতে পারি, তাহলে কীভাবে সুস্থভাবে মানুষকে পরিষেবা দেব? আমাদের পরিবারই বা কেন চাইবেন যে আমরা প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে মানুষের হয়ে কাজ করি?'

আক্রান্ত হওয়ার পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন কৌশিকবাবু। যদিও, এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি বলেই তাঁর দাবি। ঘটনার কথা ভাবলে এখনও শিউরে উঠছেন এই তরুণ অফিসার। তাঁর কথায়, 'শুধু আমি নই, আমার পরিবারের সবাই এখনও ভাবলে শিউরে উঠছি। আমার কপাল ভাল বলে হয়তো বেঁচে রয়েছি। চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন ' এ দিন রায়গঞ্জের বিধায়কর মোহিত সেনগুপ্ত, প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম কৌশিক ভট্টাচার্যের বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন।

আপাতত রায়গঞ্জের বাড়িতে বাবা-মার সঙ্গে কয়েকদিন কাটাবেন কৌশিকবাবু। এত কিছুর পরেও অবশ্য পিছু হঠতে নারাজ তিনি। সন্দেশখালি- ২ ব্লকেই ফের বিডিও-র দায়িত্ব নিয়ে ফিরতে চান তিনি। দৃঢ়তার সঙ্গে তিনি বলছেন, 'ওখানেই ফিরতে চাই। মাথা উঁচু করে চোখে চোখ রেখে কাজ করতে চাই। না হলে শাসন ব্যবস্থাতে সমস্যা হতে পারে।'
 

 

Share this article
click me!