মুর্শিদাবাদ জেলা সাংগঠনিক দিক দিয়ে ভাগের মুখে। লোকসভা নির্বাচনের আগে মাস্টার স্ট্রোক দিতে এটাই কী মাস্টারমাইন্ড পিকের নয়া রণকৌশল, এই প্রশ্নই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন, প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রচপাল সিং, শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায়,পূর্ব সূচি মেনে মুর্শিদাবাদ জেলাকে সাংগঠনিক দিক দিয়ে ভাগ করার ক্ষেত্রে জঙ্গিপুর মহাকুমা এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তই গ্রহণ করা হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গিপুর মহকুমা নিয়ে আলাদা সাংগঠনিক জেলা হবে। লালবাগ মহকুমার বেশ কিছু এলাকা এই জেলার অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। কান্দি, ডোমকল এবং বহরমপুর মহকুমা নিয়ে অন্য আরেকটি সাংগঠনিক জেলা তৈরি হবে। নতুন জেলার সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এক জনপ্রতিনিধি এগিয়ে রয়েছেন। তিনি এখনও সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই জেলা ভাগ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। তখন থেকে সংগঠনিক স্তরের রদবদলের বিষয়টিও চর্চায় ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে দল সেই সিদ্ধান্ত নেয়নি। অবশেষে সংগঠন আরও মজবুত করতে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত পাওয়ার পথে এক ধাপ এগোল বৃহস্পতিবার এর বৈঠকের মধ্যে দিয়ে।
আরও পড়ুন, 'রিসাইকেলিং হয়েই থাকে', বাংলার ৪ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হবার পর কাকে সান্ত্বনা দিলেন দিলীপ ঘোষ
জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, শীর্ষ নেতৃত্বই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। শাখা সংগঠনগুলিও ঢেলে সাজাও হবে। শাখা সংগঠনগুলির কয়েকজন সভাপতিকেও সরানো হতে পারে"। প্রসঙ্গত,মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূল এবারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রত্যাশার থেকেও ভালো ফল করেছে। ২০টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল। তারমধ্যে ১৮টিতেই তারা জয়ী হয়। এই সাফল্য আগামী দিনেও ধরে রাখতে সংগঠন মজবুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আরও জানা গিয়েছে, সংগঠনের বিভিন্ন স্তরে নতুন মুখ তুলে আনা হতে পারে। তবে পুরনোদেরও গুরুত্ব দেওয়া হবে। বিশেষ করে যুব সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই সংগঠনের কয়েকজন নেতা বিতর্কে জড়িয়েছেন। তাদের নিয়ে দল ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে।