‘প্রয়োজনে অস্ত্র ধরতে ভয় পাই না’, বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ কমিটি ঘোষিত হয়ে যাওয়ার পর রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য নিয়ে শাসক বনাম বিরোধী, যুযুধান দুই পক্ষ।
রাজ্যে ঘোষিত হতে চলেছে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ। ইতিমধ্যেই আসন্ন ভোটের আবহে প্রচারপর্ব শুরুর আগে শাসকদলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের দিকে সাধারণ মানুষের নজর কাড়তে কোমর বেঁধে লেগে পড়েছেন বিরোধীরা। যথাযথ তৎপরতা রয়েছে শাসক পক্ষের অন্দরেও। প্রতিবাদ, মিছিল, অভিযান সহ বিবিধ রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলগুলি। এরই মধ্যে, বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ কমিটি ঘোষিত হয়ে যাওয়ার পর রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য নিয়ে শাসক বনাম বিরোধী, যুযুধান দুই পক্ষ।
‘দড়ি ধরে মারো টান। রাজা হবে খান খান। আমরা এই রাজাকে খান খান করে ছাড়ব। এই রানিকে খান খান করে ছাড়ব।’ বর্ধমানে এক বিজয়া সম্মিলনীতে দলীয় কর্মীদের ডাক দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বাজতেই বুধবার সুকান্তর করা এই মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আলোড়ন। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ শাসক শিবিরের।
১৯ অক্টোবর বুধবার, একটি বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে এসে পদ্ম শিবিরের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে দলের রাজ্য সভাপতি বলেন, “আমাদের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। তাতে চোখ দেখাবে, ধমকাবে, চমকাবে। আমরা ১ বছর দেখে নিয়েছি। আর আমরা দেখতে রাজি নই। তৃণমূল কংগ্রেস আর পুলিশ প্রশাসনকে আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিশ্বাস করি।”
এরপরেই শাসক শিবিরের বিরোধিতা করে সুকান্ত মজুমদারের স্পষ্ট বক্তব্য, “আমরা মায়ের শান্তিপ্রিয় ছেলে। কিন্তু প্রয়োজনে অস্ত্র ধরতে আমরা ভয় পাই না। মায়ের ওপর যখন আঘাত আসবে, তখন আমরা অস্ত্র ধরতে বাধ্য হব।”
দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যেও বিরোধীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে সুকান্ত বলেছেন, “নিজের এলাকাকে দুর্গে পরিণত করুন। সেই দুর্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে আমরা ভোট লুঠ করতে দেব না। সেই প্রতিজ্ঞা আপনাদের করতে হবে। তবেই বিজয়া সম্মিলনী সফল হবে। তবেই আমরা জয়ী হব।”
সুকান্ত মজুমদারের বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে একজন তৃণমূল নেতার বক্তব্য, ‘লোক নেই, জন নেই, বুথ কমিটি নেই। ট্রেনি সভাপতি দলীয় কর্মীদের ভুল বুঝিয়ে চলেছেন। এসব তিনি নিজের পদ বাঁচানোর জন্য করছেন। মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই রয়েছে। মানুষ এসব হিংসাত্মক প্ররোচনায় পা দেবে না।’
আরও পড়ুন-
একাধিক খুন ধর্ষণে অভিযুক্ত রাম রহিম সিং, তাঁরই ‘সৎসঙ্গে’ ভিড় জমালেন বিজেপি নেতারা!
ভার্চুয়ালে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজের উদ্বোধন করবেন মোদী, ‘চালুই তো আছে’, দাবি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউক্রেন ছাড়ুন: ভারতীয়দের বার্তা বিদেশ মন্ত্রকের, সামরিক শাসন কায়েম করল রাশিয়া