সংক্ষিপ্ত
মেডিক্যাল কলেজের স্থায়ী ভবনের শিলান্যাস করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা চালু হয়ে গেলেও ‘আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন’ হবে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই।
কোভিড মহামারীর সময়ে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়িতে মেডিক্যাল কলেজের স্থায়ী ভবনের শিলান্যাস করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দিনেই ওই কলেজের সূচনা হয়েছিল বলে দাবি করে রাজ্য প্রশাসন। ২০২২-এর একেবারে গোড়া থেকেই শুরু হয়ে গেছে মেডিক্যাল কলেজে রোগীদের ভর্তি নেওয়া এবং রুটিনমাফিক চিকিৎসা প্রদানের কাজ। ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে যাবে চলতি বছরেই।
এই পরিস্থিতিতে সেই মেডিক্যাল কলেজই ‘উদ্বোধন’ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এমনটাই জলপাইগুড়ির জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছে কেন্দ্র। গত ১৪ অক্টোবর জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজের উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকলেও বিশেষ কারণে তা স্থগিত হয়ে গেছে। সূত্রের খবর, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, খুব তাড়াতাড়িই হাসপাতালটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফেলতে হবে এবং তা হবে ‘ভার্চুয়াল’ পদ্ধতিতেই। উদ্বোধনের তারিখও অতি শীঘ্রই জেলা তথা রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
চিকিৎসা শুরু হয়ে যাওয়া হাসপাতালের নতুন করে উদ্বোধন হওয়ার কথা শুনে বেশ আশ্চর্য হয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, “এক বার শুনেছিলাম, উদ্বোধন হবে। তখন হয়নি। তার পরে, আর কিছু জানানো হয়নি। যে মেডিক্যাল কলেজ চলছে, তার আবার উদ্বোধন হতে পারে নাকি!”
প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে নতুন করে সূচনা হওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “উনি (মোদী) যা খুশি করে থাকেন। উনি নিজেকে দণ্ডমুণ্ডের কর্তা ভাবেন।” অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপি সাংসদ তথা চিকিৎসক জয়ন্ত রায়ের বক্তব্য, ‘‘হাসপাতাল চললেও, কোনও কারণে ১৪ অক্টোবর কলেজের আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান হয়নি। কিছু দিন পরে এই অনুষ্ঠান হবে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে আমাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, সেই তারিখ দ্রুত জানানো হবে।’’
জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ সম্পর্কে কেন্দ্র সরকারের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, অন্তত আড়াইশো জন মানুষ বসতে পারেন, এমন সভাঘরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করতে হবে। ডাকতে হবে জেলার আধিকারিক থেকে শুরু করে সমস্ত বিশিষ্ট বাসিন্দাদের। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীরকুমার দেব বলেন, “গত ১৪ অক্টোবর ভার্চুয়ালে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন বলে জানানো হয়েছিল। তার পরে, আর কিছু জানানো হয়নি।” সূত্রের খবর, বিষয়টি স্বাস্থ্যভবনে জানানো হয়েছে। তবে, এবিষয়টি নিয়ে একেবারেই মুখ খুলতে চাননি রাজ্যের স্বাস্থ্য-কর্তারা।
শাসকদলের নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, “হাসপাতাল ভবন থেকে সব কিছু করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার, পরিচালনাও করছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা যেহেতু কেন্দ্র এবং রাজ্য— উভয়েরই তালিকায় পড়ে, সেই সুযোগ নিয়ে দখলদারির চেষ্টা কোছে কেন্দ্র।” শাসকদলের উদ্দেশ্যে পালটা আক্রমণ শানিয়ে বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ের মন্তব্য, “কেন্দ্রের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে, রাজ্য সরকার বলে দিক, ‘কেন্দ্রের টাকা নেব না’।”
আরও পড়ুন-
গোটা শহরের আনাচে কানাচে লুকোনো রয়েছে বোমা: হুমকি ফোন পেয়েই আতঙ্কে মুম্বই, মুড়ে ফেলা হল নিরাপত্তার ঘেরাটোপে
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউক্রেন ছাড়ুন: ভারতীয়দের বার্তা বিদেশ মন্ত্রকের, সামরিক শাসন কায়েম করল রাশিয়া
যৌনাঙ্গে রড ঢোকানো অবস্থায় রক্তের বন্যার ওপর পড়ে রয়েছেন তরুণী! উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে ভয়ঙ্কর গণধর্ষণ