রবিবার ছাত্র সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে জেএনইউ। এবিভিপি-র গুন্ডারা হস্টেলে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাম ছাত্ররা। এই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে বাংলার মেয়ে ঐশী ঘোষ। কেন হামলাকারীদের রোষের শিকার হলেন এই ছাত্রী। কে এই ঐশী ?
সোশ্য়াল মিডিয়ায় ঐশীর জীবনপঞ্জী বলছে, আদতে দুর্গাপুরের মেয়ে সে। দশম শ্রেণি পর্যন্ত দুর্গাপুরের কারমেল কনভেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করেছে জেএনইউ-এর এই ছাত্রী। পরে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন ডিএভি স্কুল থেকে। সেখান থেকে স্নাতকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়তে জেএনইউ। তারপর মাস্টার ডিগ্রিতে পড়াশোনা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বা ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস নিয়ে। বর্তমানে জেএনইউতে ইনার এশিয়ান স্টাডিজ নিয়ে পিএইচডি করছেন তিনি।
ঐশীর বাবা দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের কর্মচারী। রাজ্য়ে বাম হাওয়ার সঙ্গী ছিলেন তিনিও। কিন্তু মেয়ে যে প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিতে আসবে তা ভাবতে পারেননি তিনি। বর্তমানে জওহরলাল নেহরু ইউনিভারসিটির ছাত্র ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ঐশী। সেই সুবাদেই গেরুয়াপন্থীদের সঙ্গে তাঁর মতবাদগত বিরোধ। এদিন মুখে কাপড় ঢাকা সেই গেরুয়া ব্রিগেডের হাতেই আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ঐশী। বাম ছাত্ররা জানিয়েছে, ঐশীর আঘাত গুরুতর। ধারালো অস্ত্রের আঘাত পড়েছে তাঁর মাথায়।
এদিন সন্ধেবেলায় এবিভিপি-র গুন্ডারা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের হস্টেলে ঢুকে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন ঐশী। অভিযোগ, এ দিন সন্ধ্যার পর আচমকাই জেএনইউ ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকে লাঠি, ব্যাট নিয়ে হামলা চালায় বহিরাগতরা। ঐশীর পাশাপাশি গুরুতর ভাবে আহত হইয়েছেন অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন। জহওরলাল ইউনিভারসিতি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ বর্তমানে এইএমসের ইনটেনসিভ কেয়ারে চিকিৎসাধীন।
হামলাকারীদের মুখ ঢাকা ছিল বলেও অভিযোগ করেছে বাম ছাত্ররা। হামলা চালানোর পর বহিরাগতরা ক্যাম্পাস ছেড়ে নিশ্চিন্তে বেরিয়ে যায় বলেও অভিযোগ। হামলা চলার সময়কার বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মুখে কাপড় বেঁধে হাতে লাঠি নিয়ে জেএনইউ ক্যাম্পাসের হোস্টেলের মধ্যে আলো নিভিয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছে কয়েকজন। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে গেছে সেই ভিডিয়ো।