রামপুরহাট বগটুই হত্য়াকাণ্ডে এবার নিহতদের ডিএনএ পরীক্ষা করাবে সিবিআই। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, এর আগে মৃতদেহ শনাক্ত করতে দেওয়া হয়নি তাঁদের।
রামপুরহাট বগটুই হত্য়াকাণ্ডে এবার নিহতদের ডিএনএ পরীক্ষা করাবে সিবিআই। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, এর আগে মৃতদেহ শনাক্ত করতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। সিবিআই সূত্রের খবর, সেই কারণেই বগটুই হত্য়াকাণ্ডে এবার নিহতদের ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই আরও ৯ জনকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই।পাশাপাশি বগটুই হত্য়াকাণ্ডে সিবিআই-র হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে উঠে এসেছে, পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি চেয়ে খোদ পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখেছিলেন ভাদু শেখ। তাও আবার একুশ সালের জানুয়ারি মাসে। তারপরেও কেন ব্য়বস্থা নেওয়া হল না, ভাদুর চিঠির পর কেন অতিরিক্ত পুলিশ বা এসডিপি-র কাছে রিপোর্ট চাইলেন না পুলিশ সুপার।
ডিএনএ সংগ্রহ করবে সিবিআই
উল্লেখ্য, ২১ মার্চ রাতে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখকে খুন করা হয়। একটি খুনের বদলায় তারপর বগটুইয়ে হিংসার আগুনে আরও ৮ জনের পুড়ে মৃত্য়ু হয়। এই ঘটনায় নিহতদের ডিএনএ টেস্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই।নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, এর আগে মৃতদেহ শনাক্ত করতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। সিবিআই সূত্রের খবর, সেই কারণেই বগটুই হত্য়াকাণ্ডে এবার নিহতদের ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের সময় নিহতদের ডিএনএ সংরক্ষণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তাকারি সংস্থা সিবিআই সূত্রে খবর, নিহতদের পরিবারের সদস্যদেরও ডিএনএ সংগ্রহ করবে সিবিআই। এরপর ডিএনএ নমুনা মিলিয়ে দেখার জন্য পাঠানো হবে দিল্লির ফরেন্সিক লাইব্রেরিতে।
আরও পড়ুন, বগটুই হত্যাকাণ্ডে এবার 'ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি' তৃণমূলের, কী বললেন কুণাল ঘোষ
'যে কোনও সময় আমাকে মেরে ফেলবে,আমি খুবই ভীত'
সিবিআই সূত্রে খবর, ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ। চিঠিতে স্পষ্ট লিখেছিলেন, 'এর আগে কয়েকবার হত্যা করতে আমার ও আমার ভাইয়ের উপর হামলা চালানো হয়েছে।এখন আমি আশঙ্কা করছি আমার উপর পুনরায় হামলা হতে পারে। যে কোনও সময় আমাকে মেরে ফেলবে। এই মুহূর্তে আমি খুবই ভীত।' এরপর রিপোর্ট চাওয়া তো দূরের কথা, পুলিশ সুপারের নোট ছাড়াই সেই চিঠি চলে যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে। চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
আরও দেখুন, কাশ্মীরে আরও রোমান্টিক শোভন-বৈশাখী, দেখুন সেরা জুটির ভাইরাল ছবি
পুলিশের রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও কেন ভাদু শেখের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দেননি কর্তারা ?
সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চালিয়ে এবং বাবর শেখের খুনের তদন্ত উঠে আসে, বাবর নয়, টার্গেট ছিলেন ভাদুই। পলাশ শেখ, সোনা শেখরা তখনই টার্গেট করেছিলেন ভাদুকে। সত্যিই প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে ভাদু শেখের, অনুসন্ধানে সেই তথ্য মিলতেই ভাদুর নিরাপত্তার সুপারিশ করা হয়। ভাদু শেখের নিরাপত্তায় একজন পিএসও মোতায়েনের সুপারিশ করে গত বছর ১৪ জুন বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে চিঠি দেন স্বয়ং এসডিপিও। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে , খোদ পুলিশের রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও কেন ভাদু শেখের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দেননি পদস্ত কর্তারা।যদি ভাদু শেখ খুন না হতেন, রামপুরহাটের এই ৮ টিও প্রাণ বেঁচে যেত। রোখা যেত না কি এই খুনটা, তীরের বেগে এই প্রশ্নই উঠে আসছে। যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি পুলিশ সুপার। তিনি বলেছেন, 'আমার এই বিষয়ে কিছু বলার নেই।'