সংক্ষিপ্ত

বীরভূম রামপুরহাট বগটুই হত্যাকাণ্ডে এবার বিজেপির পাল্টা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৃণমূলের।বগটুই গ্রামে ঠিক কী হয়েছিল, তা জানতে এবার ময়দানে নামল তৃণমূল কংগ্রেস।  

বীরভূম রামপুরহাট বগটুই হত্যাকাণ্ডে এবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৃণমূলের।বগটুই গ্রামে ঠিক কী হয়েছিল, তা জানতে এবার ময়দানে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। উল্লখ্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের গঠন করা সিট-কে তদন্তের দায়িত্ব থেকে হাইকোর্টের নির্দেশে সরানো হয়েছে। তদন্তে নেমেছে সিবিআই। এদিকে রামপুরহাট বগটুই হত্যাকাণ্ডে নিজ্বস্ব ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং কমিটি বানিয়ে জেপি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে বিজেপি । সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের নাম। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উত্তরবঙ্গ সফর থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মমতা। এবার সিটের হাত থেকে তদন্ত ভার গেলেও বিজেপির পাল্টা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়ল তৃণমূল।

বিজেপির পাল্টা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি এবার তৃণমূলের, দায়িত্বে দলের শীর্ষ নেতা

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ বলেছেন, সমস্ত তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এখনই সব বলা হচ্ছে না। যথাসময়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও বলেন দলের এক শীর্ষ  নেতাকে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলের যে নিয়ম রয়েছে, সেই নিয়ম মেনেই এই কাজ চলবে।তবে কোন শীর্ষ নেতা এর দায়িত্বে  রয়েছেন, আর কোন কোন নেতা এই মুহূর্তে বগটুই হত্যাকাণ্ডে সত্য উদঘাটনের কাজে সঙ্গে রয়েছেন সে নিয়ে কুণাল ঘোষ এদিন কিছু খোলসা করে বলেননি। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে যান রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, ভারতী ঘোষ, রাজ্যসভার সাংসদ শ্রী বজলাল, সাংসদ সত্যপাল সিং এবং সাংসদ শ্রী কেসি রামমূর্তি। রামপুরহাট বগটুই হত্যাকাণ্ড নিয়ে রিপোর্ট জমা দেন তাঁরা। ওই রিপোর্ট বাংলার আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনার দিন পুলিশ কর্মী এবং এসডিপিও-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের তাঁদের সাংবিধানিক দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

আরও পড়ুন, বগুটুইকাণ্ডে এসডিপিও-আইসি চলে গেলেও রাতে কেন দাঁড়িয়েছিলেন নলহাটি থানার ওসি ? তলব সিবিআই-র

'বিজেপি নিজস্ব রিপোর্ট দিয়ে সিবিআই তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে'

তবে তৃণমূলের মধ্যে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের খবর, বিজেপির জমা দেওয়া ওই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের নামও।এর পরেই বুধবার প্রেস কনফারেন্সে দার্জিলিং থেকে বিজেপির রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তদন্ত চলাকালীনই বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বিজেপির প্রতিনিধি দলের এই রিপোর্ট বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্তকে প্রভাবিত করবে বলেই আশঙ্কা মমতার। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, ' 'বগটুইকাণ্ডে সিবিআইকে সাহায্য করছে রাজ্য সরকার। এমনকি গতকাল যে লোকটি গ্রেফতার হয়েছে, আমরাই তাঁকে গ্রেফতার করিয়েছি। সুতরাং আমরা পুরোপুরি সাহায্য করছি। কিন্তু বিজেপি নিজস্ব রিপোর্ট দিয়ে সিবিআই তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এই রিপোর্ট প্রতিহিংসামূলক। রামপুরহাট বগটুই হত্যাকাণ্ডে এই রিপোর্ট সিবিআই-র তদন্তকে আরও দুর্বল করে তুলবে। বিজেপির আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি ওদের রিপোর্ট দেখেছি। আমি ওদের রিপোর্ট দেখেছি। ওরা কোনও তদন্ত ছাড়াই কীভাবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের নাম বলল' প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। '