
একদিকে কাঁধে হাত রেখে অভয় দিচ্ছেন সোনারপুর উত্তরের বিধায়িকা ফিরদৌসি বেগম। যার কাঁধের উপরে .হাত রেখেছেন তিনি আবার সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়িকা লাভলি মৈত্র। আর এঁদের মাঝে একজন রয়েছে যিনি এই চিত্রনাট্যের অন্যতম আকর্ষণীয় কুশীলব ডক্টর পল্লব দাস। যিনি আবার রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং বর্তমানের পুর়-প্রশাসক।
ডক্টর পল্লব দাস-এর হাতে ধরা ইনেজকশন। আর ভয়ার্ত অবস্থা বিধায়িকা লাভলির। এই বুঝি তাঁর চোখ ঠেলে জল বেরিয়ে আসবে। ইনজেকশনের নাম শুনলে বহু মানুষেরই রক্তচাপ বেড়ে যায়। এমনকী আতঙ্কে বহু মানুষ কেঁদে ফেলে অথবা এমনকিছু ঘটিয়ে ফেলেন যা আর এক অন্য কাহিনি তৈরি করে। তো লাভলি মৈত্র-রও যে ইনজেকশনে ভয় রয়েছে তা সেভাবেই কারও জানা ছিল না। কতগুলি মজার ছবিতে ধরা পড়েছে ইনজেকশনের নাম শুনে ভয়ে কাঁটা হয়ে যাওয়া লাভলির-র মুখের নানা ভঙ্গিমা। এমনই কিছু ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।
দেখুন ভিডিও- হাফ-প্যান্ট পরে যাওয়ায় করোনা টিকা না দেওয়ার অভিযোগ, পোশাক ফতোয়া নিয়ে শুরু বিতর্ক
জানা গিয়েছে, সোমবার হরিনাভি স্কুলে কোভিড ১৯ টিকাকরণ কর্মসূর্চির ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়িকা লাভলি মৈত্র। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন সোনারপুর উত্তরের বিধায়িকা ফিরদৌসি বেগম। সেখান থেকে দু'জনেই আসেন স্কুল লাগোয়া রাজপুর-সোনারপুর পুরসভায়। সেখানেই আলাপ আলোচনায় সামনে আসে যে সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়িকা লাভলি মৈত্র-র কোভিড ১৯ টিকাকরণের দ্বিতীয় ডোজ বাকি রয়েছে। এই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ারও সময় হয়ে গিয়েছে। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার আওতাতেই একাধিক টিকাকরণের ক্য়াম্প চলছে। এরপর-ই পুর প্রশাসক ডক্টর পল্লব দাস লাভলি মৈত্র-এর টিকাকরণের জন্য উদ্যোগী হন। পুরপ্রশাসকের ঘরেই সম্পন্ন হয় টিকাকরণ।
দেখুন ভিডিও- পায়ে বল নিয়ে বল ছুড়লেন লাভলি, সোনারপুর দক্ষিণে পালিত খেলা হবে দিবস
আরও পড়ুন- ৫০ কোটি টাকার অ্যান্টিক কয়েনের জন্য 'বন্ধু'কে অপহরণ, শহরে পুলিশের জালে ৫
স্বাভাবিকভাবেই ইনজেকশনের নাম শুনে খানিকটা সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন লাভলি মৈত্র। ডক্টর পল্লব দাস তাঁকে আশ্বস্ত করেন এবং টিকাকরণ সম্পন্ন করেন। অন্য বিধায়িকা ফিরদৌসি বেগমও লাভলিকে সাহস জোগান। শেষমেশ ভালোয়-ভালোয় সব মিটে যায়। পরে, এশিয়ানেট নিউজ বাংলার পক্ষ থেকে লাভলি মৈত্র-র সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, তিনি ফোন ধরেননি। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার পুরপ্রশাসক পল্লব দাস একজন পেশাগত চিকিৎসক এবং এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। রাজনীতির সঙ্গে সঙ্গে এখনও চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত তিনি। এমন একজন পেশাগত চিকিৎসক রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার পুরপ্রশাসক হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সুবিধা হয়েছে এলাকাবাসীর। কারণ, স্বাস্থ্য নিয়ে এলাকায় যে কোনও সমস্যার সমাধান চট করে করে ফেলেন তিনি। এমনকী, পরিচিত জনদের কাছেও তিনি মুশকিল আসান। আর এভাবেই বিধায়িকা লাভলি মৈত্রের সামনেও ডক্টর পল্লব দাস অবতীর্ণ হলেন মুশকিল আসান হয়ে।