BJP Attacks TMC : করোনা মোকাবিলা থেকে শান্তনু বিতর্ক, রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুখ খুললেন শমীক

এক বছর আগে মানুষ অপেক্ষা করছিল ভ্যাকসিনের জন্য। তখন নাকি প্রধানমন্ত্রী থালা বাজিয়ে, আলো নিভিয়ে দেশকে বিপথে পরিচালিত করেছিলেন বলে অভিযোগ করে বিরোধীরা। সেই মোদীই দেখিয়ে দিল ১৩৫ কোটির দেশে অধিকাংশ মানুষকে একবছরের মধ্যে টিকা দেওয়া যায়।এমনটাই বলতে শোনা গেল শমীক ভট্টাচার্যকে।

Jaydeep Das | Published : Jan 16, 2022 12:34 PM IST

রবিবারই করোনা টিকাকরণের এক বছর (One year of corona vaccination) পার করে ফেলল ভারত। ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রথম ভারতে শুরু হয় করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়া। তারপর পেরিয়ে গিয়েছে ১ বছর। এদিন টিকাকরণের এক বছর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা বার্তা জানাতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Prime Minister Narendra Modi)। এদিন টিকাকরণের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য (BJP leader Shamik Bhattacharya) বলেন, আজ থেকে এক বছর আগে মানুষ অপেক্ষা করছিল ভ্যাকসিনের জন্য। তখন নাকি প্রধানমন্ত্রী থালা বাজিয়ে, আলো নিভিয়ে দেশকে বিপথে পরিচালিত করছিলেন বলে অভিযোগ করে বিরোধীরা। সেই মোদীই দেখিয়ে দিল ১৩৫ কোটির দেশে অধিকাংশ মানুষকে একবছরের মধ্যে টিকা দেওয়া যায়। বিভিন্ন রাজ্যের অসহযোগিতা থাকা সত্ত্বেও  ইতিমধ্যেই সরকার তার লক্ষ্যমাত্রার সিংহভাগই পূরণ করে ফেলেছে।

এখানেই না থেমে শমীক ভট্টাচার্যকে আরও বলতে শোনা যায়, প্রধানমন্ত্রী টুইট করেছেন,সেখানেও সমালোচনা হচ্ছে। এদিকে কয়েকদিন আগে ডায়মন্ড হারবার মডেল তৈরি হল। অনেকই সমর্থন করলেন। কিন্তু তারপেরেও কর্তৃপক্ষ কোন অবস্থায় দাড়িয়েউত্তরবঙ্গে কোনও ব্যবস্থা নেই। কোভিড বেডের কথা বাড়ানোর পর আসল তথ্য কী? সরকার খেলা,মেলা,ভিড় করে তৃতীয় ঢেউকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এই স্ববিরোধিতার রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত।অন্যদিকে অভিষেক-কল্যাণ তরজা নিয়েও এদিন তোপ দাগতে দেখা যায় শমীককে। এই প্রসঙ্গে তাঁর মত, আসলে জলন্ত সমস্যা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে এটা করেছে ওরা। এটা কল্যাণ ব্যানার্জি স্বাধীর মতামতা নয়।এদিকে ইতিমধ্যেই প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ থেকে বাংলার ট্যাবলো বাদ পড়েছে। যা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতর। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শমীক বলেন, এটা প্রশাসনিক বিষয়। মুখ্যমন্ত্রী যখন চিঠি দিয়েছেন তথন আর বলার কিছু থাকে না।

আরও পড়ুন-বিজেপি ছেড়ে পুরনো দলে ফিরতে মমতার দ্বারস্থ ইটাহারের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক, ক্ষোভ দলীয় নেতৃত্বে

এদিকে বিজেপি-র নতুন রাজ্য কমিটি তৈরির পর থেকেই ক্ষোভ বেড়েছে দলের অন্দরে। একাধিক গ্রুপ ছেড়ে বেড়িয়ে গিয়েছে শান্তনু ঠাকুরের মতো একাধিক নেতা মন্ত্রীরা। এই প্রসঙ্গে শমীকের জবাব, আমাদের দলে বিক্ষুব্ধ নেই। দিলীপ ঘোষ যখন বলেছেন তখন নতুন করে বলার কিছু থাকে না। শান্তনু ঠাকুর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সে কেউ যদি যায় বলার কী আছেআমরা মতুয়া ও সবাইকে নিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ হয়েই চলছি। আমরা সিএএ কার্যকর করতে চাই। ২০২৪ এর আগে কার্যকর হবে।

Share this article
click me!