মঙ্গলবার ১২ ঘন্টার উত্তরবঙ্গ বনধ
সোমবার উত্তরকন্যা অভিযানে পুলিশি অত্যাটারের প্রতিবাদে বনধ ডাকল বিজেপি
এদিন ওই অভিানে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে
বিজেপির দাবি পুলিশের লাঠি ও গুলির আঘাতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর
মঙ্গলবার ১২ ঘন্টার উত্তরবঙ্গ বনধ-এর ডাক দিল বিজেপি। সোমবার যুব মোর্চার উত্তরকন্যা অভিযানের সময় পুলিশের লাঠির ঘায়ে এক তাদের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে দাবি করেছে বিজেপি। যদিও তা মানেনি পুলিশ। উলেন রায় নামে সেই কর্মীর 'হত্যা' এবং আরও অনেক কর্মীর উপর 'পুলিশ ও তৃণমূলের গুন্ডা'দের আক্রমণের প্রতিবাদে এই বনধ-এর ডাক দেওয়া হয়েছে। এদিকে একই দিনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে সরা ভারত বনধের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। সেই বনধকে সমর্থন করছে বাম-কংগ্রেস। নৈতিক সমর্থন রয়েছে তৃণমূলেরও।
এদিন উত্তরকন্যা অভিযানে এসে গজলডোবালার বিনয়পল্লি-র বাসিন্দা উলেন রায় (৫০ বছর)-এর মৃত্যু হয়। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠিচার্জের পাশাপাশি পাখি মারার মতো ছররা গুলিও ছোঁড়া হয়েছে। সংজ্ঞাহীন উলেন রায়কে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। কৈলাস বিজয়বর্গীয়-র দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলের উপর পুলিশের আক্রমণে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হয়েছে।
পুলিশ-এর পক্ষ থেকে অবশ্য এদিনের অভিযানে লাঠিচার্জ বা গুলি চালানো হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে। তাদের মতে শুধুমাত্র দলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের গোলাই ব্যবহার করা হয়েছে, বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে। তারা জানিয়েছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে উলেন রায়-এর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিক মেডিক্যাল রিপোর্টেও ছররা গুলির আঘাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, ফের বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেছেন। একই সুর শোনা গিয়েছে, দার্জিলিং-এর বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা-র মুখেও। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানাতে সোমবার বিকালেই রাজভবনে উপস্থিত হন রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধিরা। তারাও কি রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানাবেন, জল্পনা চলছে।