অঙ্কের হিসেবে ভাটপাড়া পুরসভা বিজেপি-র হাতেই চলে গিয়েছিল। এ দিন সরকারিবভাবে তাতে সিলমোহর পড়ল। আস্থাভোটে জিতে ভাটপাড়া পুরসভা দখল করকল বিজেপি। চেয়ারম্যান হলেন সৌরভ সিংহ।
তৃণমূলে থাকাকালীন নিজের শ্যালককে নোয়াপাড়ার বিধায়ক করেছিলেন। বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরে অর্জুন পুত্র পবন সিংহ ভাটপাড়ার বিধায়ক হয়েছেন। এবার ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান হলেন অর্জুনের ভাইপো সৌরভ।
তৃণমূলে থাকাকালীন ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন অর্জুনই। মোট ৩৫টি ওয়ার্ড রয়েছে এই পুরসভায়। তার মধ্যে একজন কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। একজন কাউন্সিলর সিপিএমের। বাকি সবকটি আসনই ছিল তৃণমূলের দখলে। তৃণমূল ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন অর্জুন। তাঁর সঙ্গেই মোট এগারোজন কাউন্সিলর বিজেপি-তে নাম লেখান। বিজেপি আস্থাভোটের দাবি জানালেও প্রথমবার তাতে জয়লাভ করে তৃণমূলই। এর পরে আরও অন্তত আটজন কাউন্সিলর বিজেপি-তে যাওয়ায় ভাটপাড়া পুরসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে তৃণমূল। ফের আস্থা ভোটের দাবি জানায় বিজেপি।
শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার আস্থা ভোট হয় ভাটপাড়া পুরসভায়। জানা গিয়েছে, মোট ২৭ জন কাউন্সিলর চেয়ারম্যান পদে সৌরভ সিংহকে সমর্থন জানান। ফলে, খাতায় কলমে যে ক'জন কাউন্সিলর অর্জুনেের সঙ্গে গিয়েছিলেন, বাস্তবে তার থেকে বেশি কাউন্সিলর বিজেপি-কে সমর্থন জানালেন।
ভাটপাড়া পুরসভা হাতছাড়া হওয়ার জন্য নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে দায়ী করেছেন ভাটপাড়ার বিদায়ী চেয়ারম্যান সোমনাথ তালুকদার। সোমনাথবাবুও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগদান করেছেন। তাঁর অভিযোগ, পার্থ ভোমিক দলের থেকে সব সুবিধে নিয়েও দলের স্বার্থ দেখেননি। সেই কারণেই ভাটপাড়ায় বিপর্যয় হল শাসক দলের।
শুধু ভাটপাড়া নয়, হালিশহর, কাঁচরাপাড়া এবং নৈহাটি পুরসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। ফলে, ওই পুরসভাগুলিও তৃণমূলের হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। নৈহাটি পুরসভায় ইতিমধ্যেই প্রশাসক বসিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।