সংখ্যার বিচারে এগিয়ে, আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই পুরসভার দখল নিল বিজেপি

  • দলবদলের পর রামজীবনপুর পুরসভার সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিজেপিরই
  • তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল গেরুয়াশিবির
  • পুরপ্রধান অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ
  • বিজেপি কাউন্সিলররা নিজেরাই পুরসভায় আস্থা ভোট করলেন

Asianet News Bangla | Published : Oct 23, 2019 3:58 PM IST / Updated: Oct 23 2019, 09:31 PM IST

পুরভোটের দু'পক্ষের আসন ছিল সমান।  শেষপর্যন্ত অবশ্য দল ভাঙিয়ে বোর্ড গঠন গড়েছিল তৃণমূলই।  দলবদলের পর পর কার্যত কোনও আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই পশ্চিম মেদিনীপুরের রামজীবনপুর পুরসভার দখল করে নিল গেরুয়াশিবির।  নতুন চেয়ারম্যান হলেন বিজেপি কাউন্সিলর গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়।

পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘাটালের রামজীবপুর পুরসভার আসনসংখ্যা ১১।  গত পুরভোটে তৃণমূল জিতেছিল ৫টি আসনে, আর বিজেপির দখলেও ছিল ৫টি আসনই। আর একটি আসনে জিতেছিলেন সিপিএম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী।  বোর্ড গঠন নিয়ে টানাপোড়েন কম হয়নি। শেষপর্যন্ত নির্দল-সহ বিজেপির দুই কাউন্সিলর যোগ দেন তৃণমূলে। ফলে শাসকদলের আসন বেড়ে হয় ৮ আর বিজেপি আসন কমে হয় ৩।  রামজীবন পুরসভা দখল করে তৃণমূল।  কিন্তু গত এক বছরে ছবিটা বদলে গিয়েছে।  রামজীবনপুর পুরসভায় ভোটের পর যাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা সকলেই নিজেদের পুরানো দল ফিরে যান। এমনকী, পুরবোর্ড থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন পুরসভার  একমাত্র নির্দল কাউন্সিলরও। ফলে ফের তৃণমূল ও বিজেপি, দুই দলের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ৫। তবে তখনও পুরসভার চালাচ্ছিল তৃণমূলই।  কিন্তু একজন তৃণমূল কাউন্সিলর দলবদল করতেই রামজীবনপুর পুরসভার সংখ্যার বিচারে এগিয়ে যায় বিজেপি।  শুধু তাই নয়, তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থাও আনেন বিজেপি ৬ জন কাউন্সিলর। কিন্তু পুরপ্রধান নির্মল চৌধুরী অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেননি বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত একতরফাভাবে পুরসভায় তলবি সভার নোটিশ টাঙিয়ে দেন বিজেপির তিনজন কাউন্সিলর। 

বুধবার প্রশাসনিক আধিকারিকদের অনুপস্থিতিতে আস্থা ভোট করিয়ে রামজীবনপুর পুরসভার দখল করার কথা ঘোষণাও করে দিল বিজেপি কাউন্সিলররা।  এদিকে পুরসভার আস্থা ভোটের বিষয়টি গুরুত্ব দিতেই নারাজ পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান নির্মল চৌধুরী। তাঁর সাফ কথা, এভাবে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, এমনকী প্রশাসনিক আধিকারিকদের না জানিয়ে পুরসভার দখল নেওয়া যায় না। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ঘাটালের মহকুমাশাসকও।
 

Share this article
click me!