পেশায় এলআইসি এজেন্ট স্বরূপের বাড়ি জেলার ফুলবাড়িতে। ছোটবেলার স্কুল ফুলবাড়ি স্কুল। নয়াবাজার হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর বালুরঘাট কলেজ থেকে ইতিহাসে অনার্স এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন তিনি।
বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নতুন সভাপতি হলেন স্বরূপ চৌধুরী। এদিন বালুরঘাটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি কার্যালয়ে বিদায়ী জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন জেলার দায়িত্বভার তুলে দেন স্বরূপ চৌধুরীর হাতে।
২০১৩ সাল থেকে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন স্বরুপ। ওই বছরই গঙ্গারামপুর ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত তিনি জেলা যুব মোর্চার সভাপতি ছিলেন। এরপর ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জেলা কমিটির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য এবং ২০১৮ সালে জেলা সাধারণ সম্পাদক হন। আর আজ তিনি বিজেপির জেলা সভাপতির দায়িত্ব নিলেন। পেশায় এলআইসি এজেন্ট স্বরূপের বাড়ি জেলার ফুলবাড়িতে। ছোটবেলার স্কুল ফুলবাড়ি স্কুল। নয়াবাজার হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর বালুরঘাট কলেজ থেকে ইতিহাসে অনার্স এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন তিনি।
দায়িত্বভার নেওয়ার পরই বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভোট প্রসঙ্গে স্বরূপ চৌধুরী বলেন, "কোনও অসুবিধে হবে না, পূর্বসূরিরা কাজ এগিয়ে রেখেছে। পুরসভায় দল ভালো ফল করবে।"
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে পারেনি বিজেপি। রাজ্যে সরকার গড়ার স্বপ্ন দেখলেও মাত্র ৭৭টি আসনে জিতে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের। তারপর কলকাতা পুরভোটেও ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। মাত্র ৩টি ওয়ার্ড নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে তারা। আর সেই কারণেই এই রদবদল করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
এখন থেকে ৪২টি সাংগঠনিক জেলা হল বিজেপির। ৪২টির জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ৪২ জন সভাপতি। দক্ষিণ দিনাজপুরের পাশাপাশি কলকাতাতেও দুই সাংগঠনিক জেলারই সভাপতি বদল করা হয়েছে। মাত্র দু-তিনটি সাংগঠনিক জেলা ছাড়া বাকি সব জেলাতেই নতুন সভাপতি ঠিক করেছে বর্তমান রাজ্য কমিটি।
কলকাতা পুরভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপির মধ্যে একাধিক রদবদল হয়ে চলেছে। এর আগে রাজ্য কমিটিতে একাধিক রদবদল করেছে বঙ্গ বিজেপি। নতুন তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন সায়ন্তন বসু, সঞ্জয় সিং এবং রথীন বসুরা। সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়তে হয়েছে তাঁদের। আর সেই কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল। রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদে বসানো হয়েছে তাঁকে। আর এই নতুন রাজ্য কমিটিতে মোট ১১ জনকে সহ সভাপতি করা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছেন পাঁচ জন। সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, অগ্নিমিত্রা পাল, দীপক বর্মন ও জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।
রাজ্য কমিটির পর এবার রদবদল করা হল সাংগঠনিক জেলা সভাপতিতেও। বছর ঘুরলেই রাজ্যে পুরভোট রয়েছে। আর সেই কথা মাথায় রেখেই এই রদবদল করা হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।