দলীয় কার্যালয়ের মধ্যেই একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ। দলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সরব বিজেপি-র মহিলা মোর্চার এক নেত্রী। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিযোগকারিণী।
রানাঘাটে বিজেপি-র নদিয়া দক্ষিণ জেলা অফিসের মধ্যে ভোটের আগে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা নেত্রী। অভিযুক্ত নেতার নাম রাখাল সাহা। অভিযোগ, গত পনেরো এপ্রিল এই ঘটনা ঘটেছিল। এরপরেই রানাঘাট মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই নেত্রী। কিন্তু এখনও পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ তুলে সোমবার নদিয়া-মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের আইজি, জেলার পুলিশ সুপার এবং এসডিপিও-র কাছে অভিযোগ জানান ওই বিজেপি নেত্রী।
রাখাল সাহা নামে ওই নেতা বিজেপি-র জেলা অফিসের সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছে। চাকদহের বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী ওই অভিযোগকারিণীর দাবি, ঘটনার দিন দলের প্রচারের জন্য কিছু জিনিস আনতে জেলা অফিসে যান তিনি। অফিসে তখন একাই ছিলেন অভিযুক্ত রাখাল. প্রচারের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস দেওয়ার নাম করে রাখাল তাঁকে দোতলার একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওই বিজেপি নেত্রীর। কোনওক্রমে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে এসে চেঁচিয়ে সাহায্য চান। তখনই বিষয়টি জানাজানি হয়েছিল।
যদিও, স্থানীয় নেতারা ভোটের মুখে বিষয়টি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত নেতা অবশ্য তখন এর পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনার পরেই রানাঘাট মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও পুলিশ রাখালকে গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ বিজেপি নেত্রীর।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এবার তাই পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই বিজেপি নেত্রী। তাঁর অভিযোগ, রাখালের ঘনিষ্ঠরা তাঁকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এমন কী, তাঁর বিনিময়ে দশ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রস্তাবও তাঁকে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি অভিযোগকারিণীর। মামলা না তুললে তাঁকে খুন করার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। পুলিশের অবশ্য দাবি, অভিযুক্ত বিজেপি নেতা রাখাল সাহা পলাতক, তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।