বিধানসভার ঘটনা নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে নালিশ জানাতে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাসপেন্ড হওয়া বিধায়করাও। অন্যদিকে হাসপাতালে আহত বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেন সুকান্ত মজুমদার।
বিধানসভার ঘটনার নালিশ জানাতে সোমবার সন্ধ্যেবেলায় রাজভবনে গেলেন বিজেপি নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির আরও চার সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ। এদিন বীরভূমের রামপুরহাটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যবিধানসভা। বিরোধী দল বিজেপি গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য জানতে চান। তারপরই বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এই ঘটনার জেরে শুভেন্দসহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়। এই ঘটনায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে নালিশ জানান শুভেন্দু অধিকারীরা।
শুভেন্দু অধিকারী এদিন রাজভবনের গেটে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারকে একহাত নেন। তিনি গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন বীরভূম-সহ রাজ্যে চলা সন্ত্রাসের দিক থেকে নজর ঘোরাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই কাজ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন তাঁকে বেআইনিভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন একটা সেশাসনের বাইরে সাপপেনশন করা যায় না। এই একই ধরনের ঘটনা মহারাষ্ট্র বিধানসভাতেও ঘটেছিল। সেই মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি মহারাষ্ট্রের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন আগামিকাল তিনি বিধানসভায় গিয়ে সাসপেনশনের প্রতিলিপি জোগাড় করবেন। প্রয়োজনে তিনিও আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।
শুভেন্দ আরও বলেন বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। রামপুরহাটে যাতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় যান তারও আবেদন তাঁরা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাজ্যের প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপাল যাতে রামপুরহাটে যান, সেখানের গণহত্যা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন তারও আবেদন জানান হয়েছে। রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক দায়িত্বে রয়েছেন তাই বিধানসভার ঘটনা রাজ্যপালকে জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন রামপুরহাটের মহিলা শিশুদের নির্মম হত্যা করার ঘটনা যাতে মানুষ ভুলে যান তার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এদিন বিধানসভার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন মিডিয়া ও কোর্টকেও হুমকি দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আদলতের নির্দেশেই রামপুরহাটের ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সেখানেও হুমকি দিয়ে বলেছেন, সিবিআই তদন্ত পছন্দ না হলে আন্দোলন হবে।
শুভেন্দু আরও বলেন রামপুরহাটের ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছাড়া আর কিছুই নয়। তোলাবাজির টাকার বখরার ভাগ নিয়েই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ তা স্পষ্ট হয়েছে বীরভূমের ঘটনায়। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন কালীঘাট থেকে রাজ্যে লুঠতরাজ চালান হচ্ছে। অন্যদিকে আহত বিধায়কদের দেখতে এদিন সন্ধ্যে বেলা হাসপাতালে যান বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অ্যাপলো হাসপাতালে গিয়ে তিনি কথা বলেন আহত দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে।
৪৫ টাকায় লুচি, মাংস, পোলাও খেতে গিয়ে খোয়াতে হল ৪৫ হাজার টাকা, সাবধান নববর্ষের আগে
সংসদে সরব সৌমিত্র খাঁ, বীরভূম থেকে বিধানসভা ইস্যু তুলে ৩৫৫ ধারা জারির দাবি বিজেপির
মতুয়া মহামেলায় ভাষণ দেবেন মোদী, টুইটারে স্মরণ করলেন হরিচাঁদ ঠাকুরকে