সংক্ষিপ্ত

সোমবার সংসদে পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা নেই বলে অভিযোগ তুলে রাজ্যে ৩৫৫ ধরা জারি করার আবেদন জানান সৌমিত্র খান। তিনি বলেন দেশের কোনও রাজ্যে বিধানসভার অন্দরে বিরোধীদের ওপর আক্রমণ হয় না। একমাত্র রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ - সেখানে বিধানসভার অন্দরে বিরোধীদের ওপর হামলা চালান হয়েছে। 

বীরভূমের হিংসা (Birbhum Violence) রাজ্য বিধানসভা (West Bengal Assembly) হয়ে ঝড় তুলল সংসদেও (Parleament)। এদিন বীরভূমের ঘটনার পাশাপাশি  রাজ্য বিধানসভায় তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে  হামলার অভিযোগ তুলে সরব  হন বিজেপি বিধায়ক সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)। পাশাপাশি লকেট চট্টোপাধ্য়ায়, অর্জুন সিং-সহ একাধিক সাংসদ ঘটনার প্রতিবিদে গান্ধীমূর্তির পাশে অবস্থান বিক্ষোভও করেন। 

সোমবার সংসদে পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা নেই বলে অভিযোগ তুলে রাজ্যে ৩৫৫ ধরা জারি করার আবেদন জানান সৌমিত্র খান। তিনি বলেন দেশের কোনও রাজ্যে বিধানসভার অন্দরে বিরোধীদের ওপর আক্রমণ হয় না। একমাত্র রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ - সেখানে বিধানসভার অন্দরে বিরোধীদের ওপর হামলা চালান হয়েছে। সৌমিত্র খানের অভিযোগ, এদিন বাংলার বিধানসভায় দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ একাধিক বিজেপি নেতার ওপর হামলা চালিয়েছে শাসক দল।  তিনি বলেন এই রাজ্যে কোনও সরকার নেই। বিধানসভায় শসকদলের নির্দেশে বিজেপি বিধায়কদের মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারির  আবেদন জানান। 

এদিন বীরভূম ইস্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য বিধানসভা। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাইসে বক্তৃতা দেওয়ার দাবিতে সরব হয় বিরোধী পক্ষ বিজেপি।  তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে প্রথমে বচসা শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। বিধানসভার ভিরতেই রক্ত ঝরে বেশ কয়েকজন বিধায়কের। তারপরই বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন। যারমধ্যে রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তৃণমূলের বিধায়ক অসিত মজুমদারের অভিযোগ শুভেন্দু তাঁর নাকে ঘুসি মেরেছেন। যদিও তৃণমূলে নেতা ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ গোটা ঘটনার দায় বিজেপি। 

বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অনুপস্থিতিতেই গোটা ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় তিনিও যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দলের নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কেও খোঁজ খবর নিয়েছেন। 

যাইহোক রাজ্য বিধানসভার উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে হারিয়ার করেই কেন্দ্রে আসরে নামতে চাইছে বিজেপি। সেইমত সংসদে ঘুঁটি সাজাচ্ছে গেরুয়া শিবির। রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির হেনস্থার কথা সরাসরি তুলে ধরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে বলেও দাবি করে সৌমিত্র খাঁ। পাশাপাশি সংসদের বাইরেও এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায় গেরুয়া শিবির। বিজেপির আইটি সেলও এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন। 

'উনি বড় নেতা', বাগটুইয়ের ঘটনা কি বাড়িয়ে দিল অনুব্রত আর কুণালের দূরত্ব

শিলিগুড়ি করিডোরে সেনা বাহিনীর বিশেষ মহড়া, ৬০০ প্যারাট্রুপারের অনুশীলন দেখুন ভিডিওতে

তাজপুর সমুদ্র বন্দরের প্রতিপক্ষকে জোর টক্কর, চড়া দাম হাঁকাল আদানি গ্রুপ