মদন মিত্র এদিন বলেন, 'শুভেন্দু আপনিও অলরেডি তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমাদের পার্টি কী সিদ্ধান্ত নেবে তা আমি জানি না। তবে শেষপর্যন্ত তৃণমূলে ফিরে আসা ছাড়া আপনার সামনে আর কোনও রাস্তা খোলা নেই।'
দুর্বার সমন্বয় সমিতির উদ্যোগে দুর্গাপুজোর খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠান থেকে রীতিমত বোমা ফাটালেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন শুভন্দু অধিকারীও তৃণমূলের আসার জন্য পা বাড়িয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন শুভেন্দু ও বিজেপিকে রীতিমত কটাক্ষও করেন।
মদন মিত্র এদিন বলেন, 'শুভেন্দু আপনিও অলরেডি তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমাদের পার্টি কী সিদ্ধান্ত নেবে তা আমি জানি না। তবে শেষপর্যন্ত তৃণমূলে ফিরে আসা ছাড়া আপনার সামনে আর কোনও রাস্তা খোলা নেই।' এখানেই শেষ হয়নি মদন-উবাচ। শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন মদন মিত্র। তিনি বলেন শুভেন্দু বিধায়নসভায় যেভাবে কাজ করছে তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দ্রুত এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা হিসেবেও শুভেন্দুর ভূমিকার সমালোচনা করেন তিনি।
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়াকে খোঁচা দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী নিজেকে মেদিনীপুরের শুভেন্দু বলেছিলেন। এদিন সেই প্রসঙ্গও টেনে আনেন মদন। বলেন, শুভেন্দু নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি আর বাংলার নেতা নয়। শুধুমাত্র মেদিনীপুরের নেতা। তবে শুভেন্দু তাঁর মায়ের শুভেন্দু হয়ে থাকলে তৃণমূলের কোনও আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছন। মদনের কথায় শুভেন্দু প্রথম দিকে নিজেকে বাঘ ভাবতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু ধাপে ধাপে তিনি বুঝতে পারছেন তিনি বাঘ নয়। এদিন মদন মিত্র বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি তৃণমূলের ফেরার দরজা সকলের জন্য খুলে দেন তাহলে লাইনের প্রথমেই থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী।
এটাই প্রথম নয় শুভেন্দুর তৃণমূলে ফেরার জল্পনা এর আগে উস্কে দিয়েছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছিলেন বিজেপিতে গিয়ে যথেষ্ট সম্মান পাচ্ছেন না শুভেন্দু। তাঁর দমবন্ধ হওয়ার পর অবস্থা হয়ে গেছে। তিনি দ্রুত তৃণমূলে ফিরে আসতে চাইছেন। যদিও গোটা বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন পুরোটাই মিথ্যা দাবি। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন সস্তা রাজনীতি করে চকম দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।