ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, খুনের মামলা ঘোরাতেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পরিবর্তন কররার জন্য কাঁথি থেকে মেদিনীপুরে স্থানান্তর করা হয়েছে দেহ।
কয়েকদিন আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) ভূপতিনগরে বিজেপি কর্মী (BJP Worker) ভাস্কর বেরার অস্বাভাবিক মৃতদেহ (Deadbody) উদ্ধার হয়। বিজেপির অভিযোগ, তাঁকে অপহরণ করে খুন (Murder) করেছে তৃণমূলের কর্মীরাই (TMC Worker)। মৃত সেই বিজেপি কর্মীর দেহ ময়নাতদন্তের (Post-Mortem) জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পশ্চিম মেদনীপুরের মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (Midnapore Medical College and Hospital)। দু'দিন পর অর্থাৎ সোমবার সন্ধেয় সেই দেহ ময়নাতদন্ত করে পূর্ব মেদিনীপুরে নিয়ে যান বিজেপি কর্মীরা। ওই কর্মীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যদিও ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, খুনের মামলা ঘোরাতেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট (PM Report) পরিবর্তন করার জন্য কাঁথি থেকে মেদিনীপুরে স্থানান্তর করা হয়েছে দেহ।
সোমবার সন্ধেয় মেদিনীপুর শহরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই ঘটনা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, "কাঁথি হাসপাতলে ময়নাতদন্তের পরিকাঠামো ও বিশেষ চিকিৎসক থাকা সত্ত্বেও দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুরে পাঠানো হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা এখানে রাখা হয়েছে, মৃতদেহে পচন শুরু হয়ে গিয়েছে। এখানে পাঠানোর কারণ হল যিনি ময়নাতদন্ত করেছেন তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের সেটিং রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হয়তো নির্দেশ এসে গিয়েছে। প্রশাসনের লোকেরাও কথা বলে নিয়েছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে লেখা হবে পেটে মদ পাওয়া গিয়েছে। শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। এসব লেখানো হবে বলে কাঁথি থেকে এখানে এনে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তথাকথিত বাংলার মেয়ের রাজত্বে মানুষের মরেও শান্তি নেই।"
আরও পড়ুন- মেঘ সরিয়ে নামল পারদ, মঙ্গলে সোনা রোদ মহানগরে, কুয়াশায় ঢেকে বাংলার জেলা
আরও পড়ুন- বাজল স্কুলের ঘণ্টা, সতর্কতা মেনে ২০ মাস পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পা পড়ুয়াদের
এই গোটা ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) দায়ি করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "এর জন্য দায়ি রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর প্রশাসন। ভোটের সময় তিনি বলেছিলেন কয়েকদিন আধাসামরিক বাহিনী থাকবে তারপর খেলা হবে। সেই খেলা হচ্ছে এখন। রাজ্যে বিরোধীরা কেউ থাকবে না, যেভাবে দিনহাটা , গোসাবা এর মত এলাকায় ৮৭ শতাংশ ভোট নিয়ে জিতেছেন, তাতে উনি চান শুধুমাত্র ওনার দলই থাকবে। বিরোধীরা কেউই থাকবে না, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও তৃণমূলের কর্মীরা যা ইচ্ছা করবেন বলার কেউ থাকবে না। পুলিশ দলবাজি করলেও কেউ প্রতিবাদ করতে পারবে না। প্রতিবাদ করলে অপহরণ করে সারা রাত অত্যাচার করা হবে। তারপর দিন তাঁর দেহ পাওয়া যাবে। এরই নাম নির্মমতা। খুনের তালিকা দীর্ঘতর হচ্ছে। চন্দন মাইতি ও ভাস্কর বেরার মামলার তদন্তভার যাতে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয় তার জন্য এই দুই কর্মীর পরিবারকে বলব আবেদন করতে। সিবিআই না নিলে আদালতের মাধ্যমে যাব।"
আরও পড়ুন- পরিষেবা ব্যাহত হলে কড়া পদক্ষেপ, আরজি করে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে হাইকোর্ট