২৩ নভেম্বর মেয়ের বিয়ে-২৫ উপনির্বাচন, দলের দায়িত্বে অগ্রাধিকার 'কন্যাদায়গ্রস্ত' কমলের

  • একমাত্র মেয়ের বিয়ে, অপরদিকে নিজে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী
  • দুই গুরুভার সামলাতে হিমশিম অবস্থা কালিয়াগঞ্জ উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী কমল সরকারের 
  • কে করছে সাহায্য় কীভাবে মেয়ের বিয়ে সামাল দিচ্ছেন প্রার্থী কমল
  • কোন কাজে আগে মেয়ের বিয়ে নিয়ে কী বললেন বিজেপির প্রার্থী

Asianet News Bangla | Published : Nov 21, 2019 8:23 AM IST

একদিকে নিজের একমাত্র মেয়ের বিয়ে, অপরদিকে নিজে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী।  'কন্যাদায়গ্রস্ত' পিতার যেমন গুরুত্বপূর্ণ দায় দায়িত্ব তেমনি রয়েছে তাঁর উপরে বর্তানো দলের দায়িত্ব। এই দুই গুরুভার সামলাতে এখন হিমশিম অবস্থা কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী কমল সরকারের। 

তবে নিজে বিয়ের জোগাড়যন্ত্রে না থাকতে পারলেও পাশে পেয়েছেন আত্মীয়স্বজন ও পাড়াপড়শিদের। তারাই জোগাড় করছেন মেয়ের বিয়ের সমস্ত আয়োজন। আর তাই একজন বাবার থেকে দলের প্রার্থী হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারছেন ভোটযুদ্ধে। মেয়ের বিয়ের দিনই শেষ হচ্ছে নির্বাচনী ভোট প্রচারের সময়। আর একদিন বাদে তাঁর হাতেই দলের অগ্নিপরীক্ষা। কিছুটা হলেও চাপে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী কমল সরকার। 

আগামী ২৫ নভেম্বর কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন।  ঠিক তার একদিন আগে অর্থাৎ ২৩ নভেম্বর কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী কমল সরকারের  মেয়ের বিবাহের দিন। আর ওই দিনই বিকেল ৫ টায় শেষ হবে তাঁর নির্বাচনী প্রচার। শেষ মুহূর্তের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে তাকে। নাওয়া খাওয়া ভুলে দিনরাত এক করে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম ছুটে বেড়াতে হচ্ছে ভোটের প্রচারে। অথচ তাঁর মেয়ের বিয়ের কাজ তিনি কিছুই করতে পারছেন না। 

কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার যে অনেক দায় দায়িত্ব তা ভালোভাবেই জানেন  কমলবাবু। তাই ভোট প্রচারের মধ্যেও বেশ চাপে রয়েছেন তিনি। তবে তাঁর পরিবারের এই বিশাল কর্মযজ্ঞ পার করতে তাঁকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর আত্মীয় পরিজন ও পাড়াপড়শিরা। তারাই বিয়ের মন্ডপ তৈরি থেকে বিয়ের কেনাকাটা, প্রীতিভোজের সব ব্যাবস্থা সামলাচ্ছেন। এমনটাই জানালেন তাঁর আত্মীয় পরিজনেরা।  

বিজেপি প্রার্থী কমল সরকারের স্ত্রীও জানালেন, মেয়ের বিয়ের জন্য একদমই সময় দিতে পারছেন না স্বামী। আর কমলবাবু জানালেন বাবা হিসেবে মেয়ের বিয়ে দেওয়া তার দেখভাল করা আমার কর্তব্য। কিন্তু দল যে দায়িত্বটা আমাকে দিয়েছে সেটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।  মানুষ হয়ে জন্মেছি,শুধু নিজের জন্য নয় সমাজের জন্য। সেকারণে  দলের জন্য কাজ করাটাকেই বেশি গুরুত্ব দিতে চান তিনি।

Share this article
click me!