বাবা-মাকে ছেড়ে আবাসিক স্কুলে পড়ার অভিমানে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র আত্মঘাতী

  •  আবাসিক স্কুলে থাকার অভিমানে আত্মঘাতী  ছাত্র 
  • বছর বারোর ওই নাবালক ছাত্রের নাম  সম্রাট পাল 
  • মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগরের ঝাঁপানতলাতে 
  • গত মঙ্গলবারও সম্রাট সরস্বতী পুজো নিয়ে মেতে ছিল 
     

Ritam Talukder | Published : Jan 29, 2020 4:48 AM IST

বাবা-মা কে ছেড়ে আবাসিক স্কুলে থাকার  অভিমানে আত্মঘাতী হল সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্র। বছর বারোর ওই নাবালক ছাত্রের নাম  সম্রাট পাল। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগরের ঝাঁপানতলাতে। এই ঘটনায়  গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে । বাড়ির শৌচাগার থেকে ওই নাবালকের ঝুলন্ত দেহ তার আত্মীয়রা উদ্ধার করেন। ইতিমধ্য়েই পুলিস তদন্তে নেমেছে।  

গত মঙ্গলবার, সম্রাট খুব আনন্দের সঙ্গে সরস্বতী ঠাকুর কিনে এনেছিল। শৌচাগারে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সম্রাট সরস্বতী পুজো নিয়ে মেতে ছিল। গতকাল সকালেও সে পুজো নিয়েই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলছিল। এরপরই সে স্নান করতে যায়। কিন্তু, দীর্ঘ সময় ধরে শৌচাগার থেকে না বেরনোয়  বাড়ির লোকজন ডাকাডাকি শুরু করে। সন্দেহ হতেই, সম্রাটের বাবা শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে ফেলেন। তখনই দেখা যায় শৌচাগারের গ্রিলের সঙ্গে গামছা দিয়ে ঝুলছে সম্রাট। তারপরেই চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সূত্রের খবর, চঞ্চল স্বভাবের জন্য় সম্রাট পাড়াতেও বেশ পরিচিত ছিল। আর সেই  দুষ্টু সম্রাটকে শান্ত করতেই সম্প্রতি তাকে বারাকপুরের একটি আবাসিক স্কুলে পরিবার ভর্তি করে দেওয়া হয়। পরিবারের ঘনিষ্ঠদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে থাকাকালীন বাড়ির জন্যে মন খারাপের কথা বলত।


প্রতিবেশীদের দাবি, বাড়ির সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়টি সম্রাট মেনে নিতে পারেনি। বিশেষ করে ছোটভাই বাড়িতে থাকবে, আর তাকে হস্টেলে থাকতে হবে, এটাই তাকে কোনওভাবে কষ্ট দিচ্ছিল। বাড়িতে আসার পরে সেই অভিমানেই হয়ত মৃত্যুর পথ বেছে নেয় সে।  প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, শৌচাগারের জানালায় গামছার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সম্রাটকে পাওয়া গেলেও তার পা মেঝেতে ঠেকে ছিল। তাই এই বিষয় নিয়েও যথেষ্ট ধোয়াশা তৈরি হয়েছে। যদিও চন্দননগর থানার পুলিস জানিয়েছে, সম্রাটের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তাই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত করা হচ্ছে। 
 

Share this article
click me!