বছর সাতেকের শিশুর কানে সেফটিপিন ঢুকে গিয়ে বিপত্তি । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেলদার দেউলি রানিবাঁধ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘটনার পরই দেউলি সুধীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র দেবনাথ সিংহকে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্রের পরিবারের দাবি, চিকিৎসকের তৎপরতায় বিপদ মুক্ত হতে পেরেছে শিশু।
হাসপাতালের চিকিৎসক সুদীপ সিংহ শিশুর বাম কানে বিপজ্জনকভাবে ফুটে থাকা সেফটিপিনটি বের করতে সক্ষম হন। শিশুর বাবা ভানু সিংহ জানান, টিউশনে গিয়েছিল ছেলে। সেফটিপিন নিয়ে কানে দেওয়ার সময় পিনের মুখটি খুলে যায়। যার জেরে কানের ভেতর আটকে যায় পিন। কানের পাতা ফুটো করে পিনটি ঢুকে যাওয়ায় বের করা যাচ্ছিল না।
পরে ওই শিশু জানায়,কান চুলকোনোর সময় সেফটিপিন ব্যবহার করেছিল সে। সেই সময় সামনের দিকে থাকা পিনের মুখটি খুলে যায়। আর পরে তা বের করতে পারেনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুজন চিকিৎসক পিনটি বের করার চেষ্টা করেন। চিকিৎসক সুদীপ সিংহ বলেন, পিনটি এমনভাবে আটকে ছিল যে বাইরে টানতে গেলেই কানের পাতা ফুটো করছিল। কানের ভিতরেও ঠেলা যাচ্ছিল না। অনেক চেষ্টায় পিনটি বের করা গেছে। সাবধানতা অবলম্বন করে এ কাজ করতে হয়েছে। নইলে কানের ক্ষতি হতে পারত শিশুর।
এই ঘটনার পর শিশুর সঙ্গে সঙ্গে সব বাবা-মাকেই শিশুদের থেকে এই ধরনের সামগ্রী দূরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎকরা। শিশুরা যাতে কান চুলকোনোর জন্যে এইধরনের কোনও সামগ্রী ব্যবহার না করে, সে বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের সচেতন থাকার কথা বলেছেন তাঁরা।