চরম ন্যক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী থাকল মুর্শিদাবাদ। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে দিব্যাঙ্গ নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
নারী নির্যাতনের নিরিখে বর্তমানে গোটা দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির মতো ভয় বাড়ছে বাংলাতেও। এমতাবস্থায় এবার চরম ন্যক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী থাকল মুর্শিদাবাদ। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে দিব্যাঙ্গ নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের হুড়শি এলাকায়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনার খবর চাউর হতেই অভিযুক্ত সন্দেহে স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ওই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম নাজু শেখ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হুড়শি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের ভাই নাজু শেখের নামে অভিযোগ জানান নির্যাতিতার মা। তাঁর অভিযোগ, তাঁরা বাড়িতে ছিলেন না। বিশেষ কাজে পাশের গ্রামে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে তাদের বাড়িতে প্রথমে প্রবেশ করে নাজু।
পরবর্তীতে ওই দিব্যাঙ্গ নাবালিকার সঙ্গে গল্প করে তাকে ভুলিয়ে চকলেট খাইয়ে ধর্ষণ করে। তারপরে সকলে বাড়ি ফিরে এসে প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও ধীরে ধীরে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। সন্দেহ হয় বাড়ির লোকের। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নাবালিকার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। তারপরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে। সেখানেই ঘটনার কথা প্রথম প্রকাশ্যে আসে। জানা যায় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ভাই নজু শেখ ধর্ষণ করেছে ওই নাবালিকাকে।
আরও পড়ুন- মুম্বইয়ের বড় অংশের ডিভোর্স হয় যানজটের কারনেই, দেবেন্দ্র ফড়নবিশে স্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত প্রধান সীমা বিবি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে নাজুকে ফাঁসানো হচ্ছে। বেশ কয়েকদিন আগে নাজুর জমিতে ছাগল ঢুকে যাওয়া নিয়ে ওই নাবালিকার মায়ের সঙ্গে বচসা হয়েছিল। তখনই নাজুকে ফাঁসানোর হুমকি দেন তিনি। তারপর চক্রান্ত করে এভাবে ফাঁসানো হচ্ছে"। এদিকে শেষ পাওয়া খবরে জানা যায়, অভিযুক্ত নজর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তাকে বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।