বড় দিনের সাজে সেজে উঠেছে শহর কলকাতা। পার্ক স্ট্রীট থেকে বো ব্যারাক, সর্বত্রই আলোয় মোড়া। আর বড় দিন মানেই মুখ মিষ্টি কেক দিয়ে। নামী দামী কোম্পানির কেকের দোকান থেকে শুরু করে পাড়ার মোড়ে মোড়ে স্থায়ী-অস্থায়ী দোকানে এখন রঙিন কেকের পসরা। সান্তা বুড়ো-র আনন্দ দানে কৃপনতা রাখেননি। এখন বড়ো দিনের উৎসব শহরের গণ্ডী টপকে পৌছে গিয়েছে জেলায় জেলায় প্রত্যন্ত গ্রামেও। সেখানে প্রচারেরের রমরমায় পৌছে গিয়েছে নামী কোম্পানির কেক। গ্রামের অলিতে-গলিতে কেকের পসরা সাজিয়ে তৈরি হয়েছে দোকান। যার কারণে ধুঁকছে স্থানীয় বেকারিগুলি।
মুর্শিদাবাদ জেলাতেও এক সময় ছোট বড় মিলিয়ে কয়েকশো বেকারি ছিল। সেই বেকারির সংখ্যা কমে এখন সাকুল্যে ৩০-৪০ হবে। কারণ মানুষের চাহিদা ও ক্রয় ক্ষমতা বাড়ায় অনেকেই দামি ব্র্যান্ডের কেক পছন্দ করেন। কিন্তু প্রত্যন্ত মানুষের মুখে এখনও কম পয়সায় কেক তুলে দিচ্ছে স্থানীয় বেকারিগুলিই। গ্রামের নিম্নবৃত্ত বা নিম্নমধ্যবৃত্ত ক্রেতারাই এদের ভরসা। ফলে বছর শেষে এই বেকারিগুলিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে। কর্মী সংখ্যা কম হওয়ায় নাওয়া-খাওয়ার ফুরসৎ নেই বেকারি ককর্মীদের। করোনা মহামারীর কারণেও এবছর একটু কমদামী কেকের দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। ফলে মুর্শিদাবাদের স্থানীয় বেকারিগুলিতে এখন মরা গাঙে জোয়ার আসের মত অবস্থা।
স্থানীয় বেকারির তৈরি কেকের চাহিদা বাড়ায় খুশি বেকারি মালিকরা। বহরমপুরের গোরাবাজারের বেকারি মালিক সঞ্জয় সাহা জানান,'বড়দিনের জন্য এখন পর্যন্ত ৪ হাজার পাউন্ড কেক বিক্রি হয়েছে। ফের নতুন করে কেক বানাতে হচ্ছে।' আর এক বেকারি কারবারী নিল মাধব দাস বলেন,'আমাদের ভরসা গ্রামের নিম্নবিত্ত মানুষ। যাদের পঁচাত্তর বা একশো টাকা দিয়ে চকচকে মোড়কের ২০০ গ্রাম কেক কেনার ক্ষমতা নেই। এখনও কুড়ি থেকে পঁচিশ টাকায় তিনশো বা সাড়ে তিনশো গ্রাম ওজনের কেক শুধু বেকারিই দিতে পারে।' ফলে বড় দিন উপলক্ষ্যে ব্যবসা বাড়ায় মুখে চওড়া হাসি মুর্শিদাবাদের স্থানীয় বেকারিদের।