উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে এক সপ্তাহের মধ্যে। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে, বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য জানিয়ে দিয়েছেন, মেধাতালিকা প্রকাশ হলেও নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আপাতত বহালই থাকবে৷ এসএসসি-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মেধাতালিকা নিয়ে কোনও প্রার্থীর কিছু প্রশ্ন থাকলে,তিনি কমিশনে জানাতে পারবেন। কমিশনকে তার উত্তর দিতে হবে তিন সপ্তাহের মধ্যে।
২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের ডকুমেন্ট ভেরিভিকেশনের জন্য না ডেকে অপ্রশিক্ষিতদের ডাকা হয়েছে বলে কয়েকশো প্রার্থী হাইকোর্টে মামলা করেন। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য তখন অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেন, সমস্ত তথ্য দিয়ে সফল প্রার্থীদের তালিকা বের করার পর প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিতে হবে। তবে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে না।
কমিশন এরপর ইন্টারভিউ নেয় এবং কিছুদিন পর তা শেষও হয়। কিন্তু মঙ্গলবার বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যর এজলাসে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, 'কমিশন মেধা তালিকায় সফল প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, টেটে প্রাপ্ত নম্বর, টেটে তাঁরা আদৌ উত্তীর্ণ হয়েছেন কি না এই সমস্ত তথ্যই যথাযথভাবে দেওয়া হয়নি৷ এদিকে ইন্টারভিউও শেষ হয়ে গিয়েছে।' মামলাকারীদের আইনজীবীর এই বক্তব্য শোনার পর আদালত নির্দেশ দেয়, কমিশনকে সমস্ত তথ্য- সহ মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
মেধা তালিকা নিয়ে কারোর কোনো প্রশ্ন থাকলে তিনি কমিশনকে জানাবেন। কমিশন তিন সপ্তাহের মধ্যে সেই প্রার্থীর প্রশ্নের উত্তর দেবে৷ তবে কোর্টের নির্দেশ ছাড়া কাউকে নিয়োগ করা যাবে না। আদালতের এই নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের জট আরও কিছুটা কাটল বলেই আশাবাদী চাকরিপ্রার্থীরা।