সামনে এল রিকা- কিকা, পুজোর আগে আকর্ষণ বাড়ল বেঙ্গল সাফারি পার্কের

  • ওপেন এনক্লোজারে ছাড়া হল রিকা এবং কিকাকে
  • শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কেই জন্ম দুই শাবকের
  • বেঙ্গল সাফারি পার্ক নিয়ে আরও পরিকল্পনা রয়েছে বন দফতরের
     

debamoy ghosh | Published : Oct 1, 2019 11:48 AM IST

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এবার শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে প্রকাশ্যে এল রয়্যাল বেঙ্গল শাবক কিকা ও রিকা। এ দিন থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে ওপেন এনক্লোজারে ছাড়়া হল বেঙ্গল সাফারি পার্কে জন্মানো দুই রয়্যাল বেঙ্গল শাবককে। নিজেদের মা শীলা ও সাফারি পার্কের আরও এক বাসিন্দা রয়্যাব বেঙ্গল টাইগার বিভানের পাশাপাশি এই দুই শাবককে এবার থেকে একসঙ্গে দেখা যাবে। 

শিলিগুড়ি শহরে অদূরে অবস্থিত বেঙ্গল সাফারিতে জন্ম হয় রিকা ও কিকার। দু'টিই মেয়ে শাবক। রিকা এবং কিকার মা- বাবার নাম শীলা এবং স্নেহাশিস। দুই শাবকের বাবা স্নেহাশিসকে অবশ্য এই মুহূর্তে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। দু'টি শাবকেরই এখন বয়স পৌনে দু' বছরের মতো।  এদের মধ্যে রিকা আবার সাদা বাঘ। যা পর্যটকদের সামনে আরও আকর্ষণের কারণ হয়ে উঠবে বলেই আশাবাদী বন দফতরের কর্তারা। পুজোর মরশুমে পর্যটকদের আকর্ষিত করতেই এই দুই শাবককে সামনে নিয়ে আসা হল। যদিও রিকা এবং কিকার সঙ্গে জন্ম নেওয়া একটি পুরুষ শাবককে অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি। 

 উপস্থিত ছিলেন বনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু, রাজ্য পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ণ মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সহ একাধিক পদস্থ কর্তা ব্যক্তিরা৷ এদিন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, বেঙ্গল সাফারিকে আরও সাজিয়ে তুলতে একাধিক পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি বাঘের প্রজননে এবার বিশেষ নজর দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে শিলিগুড়িতেই গড়ে তোলা হবে প্রজনন কেন্দ্র। অন্যদিকে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হবে শকুন।

বেঙ্গল সাফারি পার্কের মতোই রাজ্যে আরও ব্যাঘ্র প্রজনন কেন্দ্র বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্যের বন দফতর। ফেব্রুয়ারি মাসে সিঙ্গলিলায় বারো হেক্টর জমির উপরে একটি বাঘ প্রজনন কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হবে। বেঙ্গল সাফারি পার্কের ব্যাঘ্র প্রজনন কেন্দ্র আরও পাঁচ হেক্টর জমির উপরে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পর্যটন মন্ত্রী জানিয়েছেন. ২০১৬ সালে ২৩০০ হেক্টরেরও বেশি জায়গার উপরে শুরু হওয়া বেঙ্গল সাফারি পার্ক ইতিমধ্যেই লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে। আগামী বছরের শুরুতেই সাফারি পার্ক ঘুরে দেখার জন্য একটি টয় ট্রেন পরিষেবা চালু করা হবে। নিশাচর, সরীসৃপ প্রাণীদের জন্য বিশেষ জোন তৈরি করা হচ্ছে। বেঙ্গল সাফারি পার্কে এই মুহূর্তে ময়ূরের সংখ্যাও আড়াইশো ছাড়িয়েছে বলে জানান পর্যটন মন্ত্রী। চলতি আর্থিক বছরেই বেঙ্গল সাফারি পার্ক সাড়ে তিন কোটি টাকা লাভ করেছে বলে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু। 

রাজ্যর বন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এ দিন সাফারি পার্কে এসে বলেন, 'আমরা খুবই খুশি। এই দুই শাবকের জন্ম এখানেই। এখানেই বেড়ে ওঠা। আমরা আশা করছি এই দুই রয়্যাল বেঙ্গল শাবকের টানে পর্যটকের ঢল নামবে বেঙ্গল সাফারিতে।'

Share this article
click me!