তদন্তকারী আধিকারিকরা পরেশ অধিকারীর কন্য অঙ্কিতা অধিকারীর বিরুদ্ধে আরও তথ্য জোগাড় করতে চেয়েছেন। সেই কারণেই এসএসসি দূর্ণীতি মামলাকারী ববিতা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ববিতা জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা পুরো বিষয়টি তাঁকে ফোনে জানিয়েছেন।
এবার এসএসসি মামলাকারী বতিতা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করল সিবিআই। তেমনই জানিয়েছে সূত্র। এই ববিতা সরকারের দায়ের করা এসএসসি দূর্ণীতি মামলার জন্যই চাকরি গেছে অঙ্কিতার। হাইকোর্টের রায় দেওয়ার পরই ববিতা জানিয়েছিলেন তিনি এই রায়ে খুশি। কারণ চাকরিটা তাঁরই পাওয়ার কথা ছিল। যাইহোক সূত্রের খবর ববিতা সিবিআই আধিকারিকদের পুরোপুরি সহযোগিতা করবেন।
সূত্রের খবর তদন্তকারী আধিকারিকরা পরেশ অধিকারীর কন্য অঙ্কিতা অধিকারীর বিরুদ্ধে আরও তথ্য জোগাড় করতে চেয়েছেন। সেই কারণেই এসএসসি দূর্ণীতি মামলাকারী ববিতা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ববিতা জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা পুরো বিষয়টি তাঁকে ফোনে জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারি কোনও চিঠি হাতে পাননি। চিঠি পেলেই তিনি জানতে পারবেন কোন দিন সিবিআই দফতরে তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। এসএসসি দূর্ণীতি সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র তাঁর কাছে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ববিতা জানিয়েছেন তদন্তকারীরা ডাকলে তিনি অবশ্যই যাবেন। তাদের সাহায্য করবেন।
শিলিগুড়ির বাসিন্দা ববিতা সরকার। সেখান থেকে এসে কলকাতা হাইকোর্ট মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে তিনি জয়ী। তাঁর মামলার কারণেই কলকাতা হাইকোর্ট এসএসসি দূর্ণীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। চাকরি গেছে পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। তাঁকে ফিরত দিতে হবে তাঁর এতদিনের বেতন। তেমনই কঠিন নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশাশি এই মামলায় জেরা করা হচ্ছে প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকেও। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ে খুশি ববিতা।
অন্যদিকে এসএসসি দূর্ণীতি মামলায় কিছুটা হলেও কোনঠাসা রাজ্যসরকার। এই মামলায় রীতিমত আতশ কাচের তলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে দুই বার লম্বা জেরা করেছে সিবিআই। তবে পার্থ ইস্যুতে এখনও পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু না বললেও দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ রীতিমত দূরত্ব তৈরি করছেন। তিনি বলেছেন কোনও ব্যক্তি দোষ করলে তার দায় দলের ওপর চাপান ঠিক নয়। সেই দায় তাঁকে একাই বহন করতে হবে।
সূত্রের খবর সিবিআই পার্থকে এসএসসি নবম ও দশম শ্রেণির শিভক, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ মামলায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকা দূর্ণীতি হয়েছে কিনা জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। শান্তিপ্রসাদের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হতে পারে পার্থকে। কারণ আদালতে একাধিকবার বয়ান বদল করেছেন তিনি।