যদিও বাড়িতে মন্ত্রী নেই বলেই খবর। তবে সূত্র মারফত খবর, এই মুহূর্তে কলকাতায় রয়েছেন মন্ত্রী। তবে প্রথমে সিবিআই আধিকারিকরা মন্ত্রী আসানসোলের বাড়িতে যান।
তৃণমূল নেতাদের জন্য যেন নয়া প্রকল্প! দুয়ারে সিবিআই। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মন্ডলের পরে এবার কি তাহলে পালা মলয় ঘটকের। সেই প্রশ্নই উঠছে বুধবার সকালের পর থেকে। বুধবার সকালেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে মলয় ঘটকের বাড়ি ঘিরে ফেলে সিবিআই। সেখানেই শেষ নয়। রীতিমত তল্লাশি শুরু করেন সিবিআই আধিকারিকরা। কয়লাপাচার কান্ডে চলছে তল্লাশি।
যদিও বাড়িতে মন্ত্রী নেই বলেই খবর। তবে সূত্র মারফত খবর, এই মুহূর্তে কলকাতায় রয়েছেন মন্ত্রী। তবে প্রথমে সিবিআই আধিকারিকরা মন্ত্রী আসানসোলের বাড়িতে যান। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ থাকার পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। পরে রওনা দেন আসানসোলেই মন্ত্রীর পৈত্রিক বাড়ির উদ্দেশে। সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
জুলাই মাসে মলয় ঘটককে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু সে সময় ইডি দফতরে হাজিরা দেননি তিনি। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার মধ্যেই সিবিআই হানা। অতর্কিত এই হানায় ফের বিতর্ক বঙ্গ রাজনীতিতে। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই তল্লাশি নিয়ে মুখ খোলেনি।
ফেব্রুয়ারি মাসেই রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করে ইডি। উল্লেখ্য, একুশ সালে অক্টোবর মাসে কয়লাকাণ্ডের তদন্তে ইডির সদ দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন রাজ্য়ের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। সেসময় একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকে। এরপর দোসরা ফেব্রুয়ারিও মলয় ঘটককে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কারণে তিনি আগেরবার হাজিরা দেননি। এই নিয়ে মোট তিন বার মলয় ঘটককে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এদিকে, কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআই ও ইডি সমান্তরাল ভাবে তদন্ত করছে। সকাল ৮.১৫ মিনিট নাগাদ মন্ত্রীর পুরনো বাড়িতে যায় সিবিআই। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে পুরনো বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তদন্তকারীরা।