কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী, রেজিস্ট্রি অফিস এবং ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ, তলব করল সিবিআই!

রাজ্যে ফের সিবিয়াই এর দল। গরু পাচার মামলার তদন্তে  বীরভূম জেলায় গেলন তারা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি  অনুব্রতের সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য নিতে  ডেকে পাঠানো হয়েছে তার বেশ কজন ঘনিষ্ঠকে। যাদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় ব্যাবসায়ী, নিবন্ধন অফিস এর কর্মচারী ও ব্যাঙ্ক আধিকারিক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পের ব্যাবস্থা করা হয়েছে সিবিয়াই এর পক্ষ থেকে।

Astik Ghosh | Published : Sep 14, 2022 10:23 AM IST

বোলপুর এবং শান্তিনিকেতনের রতনকুঠিতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে বুধবার মোট চার জন সিবিআই আধিকারিক আসেন। সেখানে ডাকা হয় অনুব্রত মণ্ডল-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকে। এই রাজীব অনুব্রতের একাধিক চালকলের দেখাশোনা করতেন। এ ছাড়াও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার এবং বোলপুর রেজিস্ট্রি অফিসের আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। এর আগেও গরু পাচার মামলায়  এদের সবাইকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। কদিন আগে  অনুব্রতের ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য  নিজাম প্যালেসে ডাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

তদন্তে জানা গিয়েছে যে, বেশ কিছু কোম্পানির ডিরেক্টর হিসাবে রয়েছে অনুব্রত-কন্যার নাম। অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যার নামে একাধিক কোম্পানি রয়েছে বলে আনুমান তদন্তকারীদের। সেই সব কোম্পানিতে প্রচুর অর্থের লেনদেন হয়েছে বলে জানা গেছে। রাজীব ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় একটি হাসপাতালে আর্থিক লেনদেনের বিষয় সামনে আসে। সিবিআই জানতে পেরেছে, অনুব্রতের স্ত্রী  নিউটাউনের একটি ক্যানসার হাসপাতাল চিকিৎসাধীন থাকাকালীন মোট ৬৬ লক্ষ টাকা ওই হাসপাতালকে দিয়েছিলেন রাজীব। রাজীব কোন কারণে এত টাকা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন তার সদুত্তর দিতে পারেননি। বস্তুত ২০২০ সালে মৃত্যু হয় অনুব্রতের ক্যানসার আক্রান্ত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের। 

প্রসঙ্গত তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে ১১ই আগস্ট  গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়। অনুব্রত মন্ডলকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহযোগীদের মধ্যে গণ্য করা হয় এবং তিনি বীরভূমে তৃণমূলের ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কিত সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। তৃণমূলের প্রভাবশালী এই নেতার গ্রেপ্তার চলমান আন্তঃসীমান্ত গবাদি পশু চোরাচালান এর ব্যাপকতার  দিকে ইঙ্গিত করে। সিবিয়াই আধিকারিকদের আনুমান বিএসএফ, শুল্ক বিভাগ এবং পুলিশ কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের সংযোগে সমগ্র  চোরাচালানটি ঘটে থাকে।  

Share this article
click me!