রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি পদে মনোনীত হন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। নাম ঘোষণা করা মাত্রেই শুরু হয় উৎসব।
নাম ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন সমর্থকরা। রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি (BJP state president) পদে মনোনীত হন বালুরঘাটের (Balurghat) বিজেপি সাংসদ (BJP MP) সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নাম ঘোষণা করা মাত্রেই শুরু হয় উৎসব। গাঁদা ফুলের মালা থেকে রজনীগন্ধার মালা, লাড্ডু থেকে সন্দেশ-উৎসবে মাতলেন সুকান্ত অনুরাগী ও সমর্থকরা। একের পর এক সমর্থক এসে নতুন সভাপতিকে বরণ করে নেন।
বালুরঘাটে জেলা বিজেপি কার্যালয়ে সোমবার যেন ছিল অকাল দিওয়ালির আমেজ। শুভানুধ্যায়ীদের উৎসবে সামিল হন নতুন সভাপতিও। তবে তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল পরিমিত। পরিষ্কার জানালেন তাঁর মূল লক্ষ্য থাকবে দলকে পশ্চিমবঙ্গে শক্তিশালী করা, দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে দল যেখানে পৌঁছেছে, সেখান থেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
তিনি বলেন দিলীপ ঘোষ দারুণ কাজ করেছেন এবং তাঁর পূর্ববর্তী সভাপতিরাও ভাল কাজ করেছেন। এদিন তিনি আরও বলেন পশ্চিমবঙ্গকে এই বেহাল অবস্থা থেকে বের করে আনার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টিকে শক্তিশালী করা দরকার।
সোমবার ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং চিঠির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি হিসাবে সুকান্ত মজুমদার-কে নিযুক্তির কথা জানান। উল্লেখ্য, বালুরঘাটের সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার আগে ডাঃ সুকান্ত মজুমদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসাবে অধ্যাপনার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে ছাত্র জীবন থেকেই আরএসএসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ সুকান্ত মজুমদারের।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বালুরঘাট শহরের খ্যাতনামা বালুরঘাট খাদিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী প্রাক্তনী তথা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদার-এর বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা জেলার রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। যার পরবর্তী সময়ে সুকান্ত মজুমদার লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে রাজনীতিতে কার্যত পাকাপাকি পা জমান। এরপর বিজেপির দলীয় সাংগঠনিক কর্মসূচি ও প্রচারে ক্রমাগত গুরুত্ব বাড়তে থাকে সুকান্ত মজুমদারের।