
বাগটুই গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রেফতার হল আরও ৭ জন। সোমবার রাতে বিভিন্ন জায়গা থেকে এই সাতজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। মঙ্গলবারই তাদের সকলকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। অন্যদিকে ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় ছোট লালন শেখকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এদিন তাকেও রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক সাত জনকে ১০ দিন এবং ছোট লালন শেখকে দুদিনের সিবিআই হেফাজতের আদেশ দেন।
সিবিআই সূত্রে খবর, বগটুই গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের নাম নূর আলি শেখ, সের আলি শেখ, বিকির আলি শেখ, আসিফ শেখ, জসিফ শেখ, খাইরুল শেখ, জামিরুল শেখ। এদের মধ্যে ৪ জন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। আর ভাদু শেখ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ছোট লালন শেখ। সোমবার রাতে বিভিন্ন জায়গা থেকে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। ছোট লালন শেখ অন্য একটি খুনের মামলায় আত্মসমর্পণ করেছিল রামপুরহাট থানায়। সেখান থেকেই তাকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। মঙ্গলবারই সকলকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হয়। রামপুরহাট মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা বিচারক সৌভিক দে সাতজনকে ১০ দিন এবং ছোট লালনকে দুদিনের সিবিআই হেফাজতের আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর রামপুরহাট বাগটুই মোড়ে বোমা মেরে হত্যা করা হয় বগটুই গ্রামের বাসিন্দা, বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েত উপ-প্রধান ভাদু শেখকে। তার কিছুক্ষণ পর ওই রাতেই বাগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভস্মীভূত হয়ে যায় ১০-১১ টি বাড়ি। ভোর রাতে পুলিশ, দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ আসতে অনেক দেরি করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরদিন সকালে ভস্মীভূত ঘরের ভিতর থেকে ৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গুরুতর জখম অনেককেই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে হাসপাতালেই আরও ২ জনের মৃত্যু হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রথমে রাজ্য পুলিশ শুরু করলেও পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তভার নেয় সিবিআই। ঘটনার ৯০ দিন পর গত ২১ জুন প্রথমবার বগটুই গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও ভাদু শেখ হত্যার ঘটনায় আদালতে জোড়া চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। এর মধ্যে রাজ্য পুলিশ সিবিআই মিলিয়ে ভাদু শেখ খুনের মামলায় ৬ জন এবং গণহত্যাকাণ্ডে ২৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল। যার মধ্যে তৃণমূলের রামপুরহাট-১ নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনও ছিল। বর্তমানে জেলবন্দি তৃণমূল নেতা। তবে সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম থাকা বেশ কয়েকজন পলাতক ছিল। তাদের মধ্যেই সোমবার দুই মামলায় মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
সরকারি আইনজীবী সুরজিৎ সিনহা বলেন, “এদিন দুটি মামলায় আটজনকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলে সিবিআই। গণহত্যা কাণ্ডে সাতজনকে ১০ দিন এবং ভাদু শেখ হত্যা মামলায় তিনদিন হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল। বিচারক সাতজনকে ১০ দিন এবং লালনকে দুদিনের হেফাজতের আদেশ দেন”।
মহম্মদ আলি পার্কের পুজো নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব পুর-কর্তৃপক্ষের, উদ্যোক্তাদের দোনোমোনোয় সমাধান অধরা
'অনুব্রতকে জামিন দিন নয়তো...', হুমকি চিঠি পেলেন খোদ সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক
অনুব্রতর মেয়ের নামে আরও সম্পত্তির সন্ধান, বোলপুরে জমি রেজিস্ট্রি অফিসে অনুসন্ধানে CBI