হাবড়ার খারো শিমুলতলা এলাকার ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় নয়া মোড়। স্কুলের তরফে পরীক্ষায় না বসতে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কীসের জন্য আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিল নবম শ্রেণির ওই ছাত্র।
ইতিমধ্য়েই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় তার বন্ধুদের বক্তব্যে বেশকিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে। জানা গেছে, ঘাস মারার তেল খেয়েই আত্মহত্য়ার চেষ্টা করেছিল ওই ছাত্র। যার জেরে বার বার তার বমি করার কথা স্বীকার করেছে খোদ ছাত্রের পরিবার। যদিও স্কুলের দিকেই ছেলের আত্মঘাতী হওয়ার জন্য আঙুল তুলেছে পরিবার।
জানা গেছে,বুধবার থেকে নবম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা ছিল । পরীক্ষায় বসার জন্য নিজের উপস্থিতির হার যে কম,তা ভালোভাবেই বুঝেছিল চন্দন। এমনকী প্রজেক্টের খাতায় জমা না দেওয়ায় স্কুলে শিক্ষকদের বকুনি শুনতে হবে তাও বুঝতে পেরেছিল সে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই ভয় থেকেই সে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান। সেই থেকেই বিষাক্ত তেল খায় চন্দন। সোমবার তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়। পরিবার জানিয়েছে, কয়েকবার বমিও করে সে।
মঙ্গলবার তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় মছলন্দুপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। বুধবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় । পরিবারের দাবি, এরপর তার দুই বন্ধু তাকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলে পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসে। অভিযোগ, শিক্ষকরা তাকে পরীক্ষায় বসতে দেয়নি। কারণ হিসেবে প্রজেক্টের খাতা জমা না দেওয়া ও উপস্থিতির হার কম বলা হয়। অভিযোগ, এই শুনেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে চন্দন। এক পরিচিতের মারফত বুধবার তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নিউ ব্যারাকপুর এলাকার একটি হাসপাতালে । সেখান থেকে শুক্রবার রেফার করা হয় আরজিকর হাসপাতালে । শনিবার গভীর রাতে সেখানে তার মৃত্যু হয় ।