এক্সিট পোলে ইঙ্গিত মিলেছিল। দিল্লিতে আপ ঝড়ে ধরাশায়ী বিজেপি। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালই। রাজধানীতে গেরুয়া বিপর্যয়ে আত্মবিশ্বাসী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বাঁকুড়ার জনসভা থেকে তাঁর হুঁশিয়ারি, 'যেখানে ভোট হচ্ছে, সেখানেই হারছে। একুশে বাংলাতেও ভোটকাট্টা হবে বিজেপি।'
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়েছে গোটা দেশে। রাজধানীর বুকে শাহিনবাগে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন মহিলারা। আর এবার জবাব মিলল ইভিএম-এও। দিল্লি বিধানসভা ভোটে গো-হারা হারল বিজেপি। মঙ্গলবার ভোটগণনা শুরু হতেই এগিয়ে যায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। বেলা গড়িয়েছে, বিরোধীদের সঙ্গে শাসকদলের ব্যবধানও ততই বেড়েছে। ফোন করে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি ও এনপিআর প্রত্যাহারের দাবিও তুলেছেন তিনি। সেই ঘটনার রেশ বজায় থাকল বাঁকুড়ার জনসভায়ও।
লোকসভা ভোটের তৃণমূলের হারের পর, মঙ্গলবারই প্রথম বাঁকুড়া পা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভা করলেন বাঁকুড়া শহরে সতীঘাটে। জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'দেশজুড়ে বিদ্বেষের রাজনীতি করছে বিজেপি। রাজনীতি হোক শান্তি,উন্নয়ন ও দেশের ভালর জন্য। বিজেপি ভাগাভাগির রাজনীতি করে। তবে এর ফলও হাতে নাতে পাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের দিকে তাকান, ঝাড়খণ্ডের দিকে তাকান আর সব শেষে দিল্লি। ওরা ছড়াচ্ছিল ঘৃণার রাজনীতি। কিন্তু, গণতন্ত্রের জয় হল। কেজরিওয়ালের জয় হল।'
আরও পড়ুন: দিল্লিতে বিজেপি-র বিপর্যয়ে উল্লসিত মমতা, ফোন করে কেজরিওয়ালকে শুভেচ্ছা
গত লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া কেন্দ্রটি তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। শাসকদলের হেভিওয়েট প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেন গেরুয়াশিবিরের প্রার্থী সুভাষ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'একসময় বাঁকুড়া-সহ গোটা জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের দৌরাত্ম্য ছিল। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার এখন মানুষ নিরাপদে রাস্তায় চলাফেলা করতে পারছেন। তৃণমূল যদি দুর্বল হয়ে পড়ে, তাহলে ফের মাওবাদীরা জেগে উঠবে।' দলের কর্মীদের সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।