সংক্ষিপ্ত
- দিল্লি নির্বাচনে আপ-এর জয়ে খুশি মুখ্যমন্ত্রী
- ঘৃণার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছেন মানুষ, দাবি মমতার
- হার থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রত্যাহার করা হোক এনআরসি, নাগরিকত্ব আইন এবংব এনপিআর, দাবি তৃণমূলনেত্রীর
দিল্লিতেও মুখ থুবড়ে পড়ার পর এবার অন্তত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি এবং এনপিআর প্রত্যাহার করুক কেন্দ্র। দিল্লি নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ফোন করে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন মমতা। এ দিন বাঁকুড়া রওনা হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ঘৃণার রাজনীতির যে কোনও জায়গা নেই, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন দিল্লির মানুষ। দিল্লি নির্বাচনের ফলাফলকে মানুষের জয় বলে উল্লেখ করেছেন মুথ্যমন্ত্রী।
একই সঙ্গে দিল্লির নির্বাচনের ফল দেখে ফের একবার বিজেপি-কে আটকাতে নিজের পুরনো ফর্মুলার উপরই সওয়াল করেছেন মমতা। দিল্লি নির্বাচনেও চরম ব্যর্থ কংগ্রেস। ৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় কংগ্রেস খাতা খুলতে পারবে কি না, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সংশয়। কংগ্রেসের এই ফলের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যেখানে আপ-এর মতো আঞ্চলিক দল শক্তিশালী, সেখানে কংগ্রেসের কোনও ভূমিকা নেই। ফলে বিজেপি-কে আটকাতে যেখানে যে দল শক্তিশালী তারই লড়াই করা উচিত বলে আরও একবার সওয়াল করেন মমতা বন্দ্যাপোধ্যায়।
আরও পড়ুন- বিহার মডেলেই দিল্লিতে বাজিমাত প্রশান্তর, আরও নিশ্চিন্ত হলেন মমতা
আরও পড়ুন- এবারও খুলল না খাতা, রাজধানী শূন্য হাতেই ফেরাল কংগ্রেসকে
মমতা বলেন, দেশের সামনে এখন বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, সামাজিক উন্নয়নের মতো সমস্যা রয়েছে। কিন্তু বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার সেদিকে নজর না দিয়ে ঘৃণার রাজনীতি এবং প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই ব্যস্ত। মুখ্য়মন্ত্রীর অভিযোগ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে নানা রকম গুজব ছড়িয়ে এবং টাকা ছড়িয়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু দিল্লিবাসী বুঝিয়ে দিয়েছেন, দেশে এই ধরনের রাজনীতির কোনও জায়গা নেই। এর জন্য দিল্লির ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি এবং এনপিআর মানুষ প্রত্যাখ্যান করবেই। শুধুমাত্র উন্নয়নেরই জয় হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'মানুষ গুজব নয়, খাবার চায়।' তিনি বলেন, 'আপ জিতেছে, আজকে আমি খুব খুশি। এর পর আশা করব সিএএ, এনআরসি, এনপিআর প্রত্যাহার করে বিজেপি দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে জোর দেবে।