উত্তম দত্ত, হুগলি: স্রেফ ছাত্রী নন, গৃহশিক্ষিকার সঙ্গে কী 'অন্যরকম' সম্পর্ক ছিল? তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির কোন্নগরে। ওই শিক্ষিকা-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার পরিবারের লোকেরা।
আরও পড়ুন: 'মোবাইলে ব্যস্ত' ট্রাফিক সার্জেন্ট, জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় ছাত্রের মৃত্যু
মৃতার নাম শুভশ্রী বর্মন। বাড়ি কোন্নগরের অরবিন্দ রোডের চড়কতলা এলাকায়। কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন শুভশ্রী। পরিবারের লোকেদের দাবি, ৩০ জুন রাতে বাড়িতে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন তিনি। সেদিনই গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই তরুণীকে ভর্তি করা হয় উত্তরপাড়া হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে মারা যান শুভশ্রী। এরপর স্থানীয় একটি স্কুলের পার্শ্ব শিক্ষিকা-সহ বেশ কয়েকজন বিরুদ্ধে উত্তরপাড়া থানায় এফআইআর করেন পরিবারের লোকেরা। ঘটনাটি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন:বাথরুমে ঢুকে কিশোরীর 'শ্লীলতাহানির চেষ্টা', অভিযুক্তের মাথা কামিয়ে দিলেন স্থানীয়রা
শুভশ্রীর বাবার দাবি, 'নিজের বাড়িতে আমার মেয়ে-কে পড়াত ওই পার্শ্ব শিক্ষিকা। অনেক রাত পর্যন্ত দু'জনে মোবাইলে কথাও বলত। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ওদের মধ্যে গভীর ও নিষিদ্ধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। আমার মেয়ে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে, ঘনিষ্ট মুহুর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে দেওয়া হুমকি দিত। ব্ল্যাকমেল করে অনেক টাকাও নিয়েছে।' এই ঘটনার জেরেই মানসিক অবসাদ ওই কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। পরিবারের লোকেরা পুলিশকে জানিয়েছেন, সোমনাথ চক্রবর্তী নামে এক যুবক শুভশ্রীকে কীটনাশক এনে দিয়েছিলেন। তাঁকে আটক করেছে পুলিশ। জেরায় তিনি জানিয়েছেন, 'শুভশ্রী ভালো বন্ধু ছিল। গাছের পোকা মারার জন্য ভালো বিষ এনে দিতে বলেছিল। ভালো মনেই বিষ এনে দিয়েছিলাম।' মূল অভিযুক্ত পার্শ্ব শিক্ষিকা অবশ্য বেপাত্তা।