রাজ্যপাল নাকি আরএসএস কর্মী, ফের বিতর্কে তথাগত

 

  • বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তথাগতের রায়ের
  • এবার নিজের পরিচয় নিয়েও বিতর্কে জড়ালেন মেঘালয়ে রাজ্য়পাল
  • বারাসতে আরএসএস পদাধিকারীদের সঙ্গে দেখাও করেন তিনি
  • মুর্শিদাবাদ হত্য়াকাণ্ডে সরকারের ভূমিকার সমালোচনা

Asianet News Bangla | Published : Oct 12, 2019 10:42 AM IST

রাজ্যপাল নয়, বরং নিজেকে আরএসএস কর্মী হিসেবে পরিচয় দিলেন। ফের বিতর্কে মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়। শনিবার বারাসতের   শঙ্কর মঠ ও বেদান্ত মঠমিশনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের এক আধিকারিকের সঙ্গে দেখাও করতে এসেছিলেন তিনি।  এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুর্শিদাবাদ হত্যাকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন তথাগত রায়। প্রশ্ন তোলেন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। 

আরএসএসের হাত ধরেই রাজনীতিতে হাতেঘড়ি। একসময়ে এ রাজ্যে বিজেপির প্রথমসারির নেতা ছিলেন তথাগত রায়। দলের রাজ্য সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন। ২০১৪ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্টতা নিয়ে প্রথমদফায় কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে মোদী সরকার। ত্রিপুরার রাজ্যপাল হন তথাগত রায়। এখন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তিনি। সংসদীয় ব্য়বস্থায় রাজ্যপাল পদটি সাংবিধানিক। যিনি রাজ্যপাল হন, তিনি রাজনীতির উর্দ্ধে। ফলে সাংবিধানিক পদে থেকে তথাগত রায়ের এহেন মন্তব্য়ে বিতর্ক তুঙ্গে। 

ঘটনাটি ঠিক কী? শনিবার আচমকাই উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে শঙ্কর মঠ ও বেদান্ত মঠমিশনে হাজির হন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়।  মঠ থেকে বেরিয়ে আগমনের কারণে সাংবাদিকদের জানান তিনি। বলেন, "আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের এক প্রবীণ কার্যকর্তা প্রশান্ত থক্কলকার জি এসেছেন। অনেকদিন দেখা হয়নি। তাই ওঁনার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম।'  মেঘালয়ের রাজ্যপালের এই মন্তব্য় ঘিরেই এখন বিতর্ক তুঙ্গে। প্রশ্ন উঠেছে, 'আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ' বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন তথাগত রায়? তাহলে কি রাজ্যপাল হয়েও তিনি এখনও নিজেকে আরএসএসের সদস্য বলে মনে করেন? এর আগেও একাধিক বার বিভিন্ন ইস্যুতে বেঁফাস মন্তব্য় করে বিতর্কে জড়িয়েছেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়। 

এদিন মুর্শিদাবাদ হত্য়াকাণ্ড নিয়েও রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন তথাগত রায়। প্রশ্ন তোলেন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।  তথাগত রায় বলেন, 'জিয়াগঞ্জের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। অথচ পুলিশ মনগড়া গল্প বলছে।'  দশমীর দিন মুর্শিদাবাদে জিয়াগঞ্জে নিজের বাড়িতেই সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, ছেলে-সহ নৃশংসভাবে খুন হন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল।  সূত্রের খবর, তিনি আরএসএস করতেন। ঘটনায় তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। এদিকে শুক্রবার মৃতের শাশুড়ি চন্দনা মণ্ডলের দাবি, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কারণেই খুন হতে হয়েছে তাঁর জামাই, মেয়ে ও নাতিকে।


 

Share this article
click me!